রাতে রোকেয়া হলে প্রবেশ নিয়ে সমালোচনার জবাব দিলেন উমামা

রাতে রোকেয়া হলে প্রবেশ নিয়ে সমালোচনার জবাব দিলেন উমামা উমামা ফাতেমার ফেইসবুক পেইজ থেকে নেওয়া তার পুরনো ছবি।

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ২২:৫৪, ২৫ আগস্ট ২০২৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী উমামা ফাতেমা রোকেয়া হলে রাতের বেলা প্রবেশ নিয়ে তৈরি হওয়া সমালোচনার ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

উমামার দাবি, রাত ১০টার মধ্যেই তিনি হলে প্রবেশ করেছেন এবং সেখানে কোনো ভোট চাইতে যাননি। তবে নিয়ম বহির্ভূতভাবে হলে প্রবেশের কারণে হল কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই সাবেক নেত্রী।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার বিরুদ্ধে ‘গভীর রাতে ভোট চাইতে হলে গেছেন’—এমন অভিযোগ ছড়িয়ে পড়লে সোমবার এক ফেসবুক পোস্টে তিনি নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন। একই সঙ্গে রোকেয়া হল কর্তৃপক্ষকে দেওয়া ক্ষমা প্রার্থনার চিঠির কপিও পোস্ট করেন।

উমামা লিখেছেন, “আমি রাত ১০টার আগেই হলে প্রবেশ করি। তাই দেড়টার সময় হলে যাওয়ার যে খবর ছড়ানো হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কেউ প্রমাণ করতে পারবে না আমি ভোট চেয়েছি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় অযথা হয়রানি করা হচ্ছে।”

তিনি আরও জানান, দীর্ঘদিনের মানসিক চাপের কারণে মেন্টাল রিলিফ নিতে বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতেই রোকেয়া হলে গিয়েছিলেন। তবে নিয়ম বহির্ভূত প্রবেশ করায় প্রভোস্টের সঙ্গে দেখা করে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চেয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমাকে ইচ্ছাকৃতভাবে অপরাধী বানিয়ে ফেসবুকে বিচার বসানো হয়েছে। আসলে নির্বাচনকে ঘিরেই এসব উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার চলছে।”

উমামা উল্লেখ করেন, এটি কোনো ফৌজদারি অপরাধ নয়। এক হলের ছাত্রী অন্য হলে যাওয়া স্বাভাবিক ঘটনা, কিন্তু এটিকে ‘ক্রিমিনালাইজ’ করে নারীদের চলাচলের পরিসর সংকুচিত করা হচ্ছে।

ভিপি নির্বাচিত হলে ছাত্রীদের নির্বিঘ্নে এক হল থেকে অন্য হলে যাতায়াতের সুযোগ নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি।

চিঠিতে উমামা জানান, শারীরিক ও মানসিক চাপে তিনি বান্ধবীর সঙ্গে রাতে থাকার জন্য রোকেয়া হলে গিয়েছিলেন, নির্বাচনী প্রচারের জন্য নয়। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রাত দেড়টায় প্রবেশের যে অভিযোগ ছড়ানো হচ্ছে, তা বানোয়াট।

উমামা ফাতেমা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন বিভাগের ১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী এবং সুফিয়া কামাল হলের আবাসিক ছাত্রী। জুলাই আন্দোলনে সক্রিয় এই শিক্ষার্থী গত জুনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন।

BD/AN

শেয়ার করুনঃ
Advertisement