মুন্সীগঞ্জে সদ্য স্থাপিত পুলিশ ক্যাম্পে ডাকাতদের অতর্কিত হামলা

Published : ২৩:৪৯, ২৫ আগস্ট ২০২৫
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামে সদ্য চালু হওয়া পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্পে হামলা চালিয়েছে কুখ্যাত নৌ-ডাকাত নয়ন–পিয়াস গ্রুপের সদস্যরা। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় তুমুল গোলাগুলি হয়। তবে পুলিশের কঠোর প্রতিরোধে শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে যায় ডাকাতরা।
সোমবার (২৫ আগস্ট) বিকেল ৫টার পর মেঘনা নদীর বেলতলি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানা গেছে, ৫/৬টি ইঞ্জিনচালিত ট্রলার নিয়ে নদীতে অবস্থান নেয় নয়ন–পিয়াস গ্রুপ। অল্প সময়ের মধ্যেই তারা ক্যাম্প সংলগ্ন স্থানে ৪/৫টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় এবং ট্রলার থেকে পুলিশের দিকে গুলি ছোড়ে। পাল্টা আত্মরক্ষায় পুলিশও গুলি চালায়। ডাকাত দলের সদস্যরা প্রায় ১০০ রাউন্ড গুলি ছোড়ে, আর পুলিশ ফায়ার করে ২০–২৪ রাউন্ড।
প্রায় এক ঘণ্টা সংঘর্ষ চলার পর সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে ট্রলার নিয়ে মতলবের দিকে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।
গজারিয়া থানার ওসি আনোয়ার আলম আজাদ জানান, স্থানীয় ডাকাত পিয়াসের নেতৃত্বে ৩০–৩৫ জন অস্ত্রধারী এ হামলায় অংশ নেয়। তারা একাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পুলিশ ক্যাম্প লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পাল্টা প্রতিরোধে পুলিশও ফায়ার করলে সন্ত্রাসীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পুলিশের কেউ আহত হয়নি বলে জানান তিনি।
মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার বলেন, নৌ-ডাকাতরা সম্ভবত চাঁদাবাজির উদ্দেশ্যে নদীতে নামে। তবে পুলিশি উপস্থিতির কারণে তারা ব্যর্থ হয়। এ ঘটনায় পুলিশ আরও কঠোর অবস্থানে যাবে বলেও তিনি জানান।
প্রসঙ্গত, গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নে দীর্ঘদিন ধরেই সক্রিয় নৌ-ডাকাতদের আধিপত্য চলছে। অবৈধ বালুমহাল দখল, নৌযানে চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সম্প্রতি নয়ন–পিয়াস ও লালু বাহিনীর দ্বন্দ্বে খুন হয়েছেন বাবলা, শুটার মান্নান ও হৃদয় বাঘসহ কয়েকজন ডাকাত। নৌ-ডাকাতদের দৌরাত্ম্য ঠেকাতে মাত্র তিন দিন আগে জামালপুর গ্রামে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছিল, যা শুরু থেকেই সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর বিরোধিতার মুখে পড়েছিল।
BD/AN