ক্যানসার আক্রান্ত আফ্রিদির পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

Published : ২০:৪১, ২৫ আগস্ট ২০২৫
কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদি লিভার ও ক্যানসারের মতো জটিল রোগে ভুগছেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী খায়রুল ইসলাম। সোমবার (২৫ আগস্ট) আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
এর আগে আদালতে খায়রুল ইসলাম বলেন, মামলার ঘটনার সঙ্গে আসামির কোনো সরাসরি সম্পর্ক নেই। তিনি জানান, বাদীর অভিযোগে বলা হয়েছে নিহত ব্যক্তি আওয়ামী লীগ, পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নির্বিচার গুলিতে মারা গেছেন। আসামি এতে সম্পৃক্ত নন। বাদী গত বছরের ১১ নভেম্বর এভিডেভিডের মাধ্যমে জানিয়েছেন যে তার নাম তথ্যগত ভুলে যুক্ত হয়েছে। তাই আফ্রিদিকে খালাস দিলে বাদীর কোনো আপত্তি থাকবে না। এজন্য তার রিমান্ড নেওয়ার যৌক্তিকতা নেই।
আইনজীবী আরও জানান, আফ্রিদি কিডনির সমস্যায় ভুগছেন এবং চিকিৎসা চলমান। অতিরিক্ত হাঁটাচলায় প্রস্রাবে রক্ত দেখা যায়। এছাড়া তার স্ত্রী গর্ভবতী। মানবিক কারণে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করতে পারে।
রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন বাদীর আইনজীবী ইব্রাহিম খলিল, ঢাকা মহানগর আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর শামসুদ্দোহা সুমন ও ঢাকা বার অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হাসান মুকুল। তারা বলেন, আসামি মামলায় এজাহারভুক্ত। তিনি লাইভে এসে আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগকে হত্যাকাণ্ডে উৎসাহিত করেছেন। রিমান্ডে নিলে জানা যাবে, হত্যাকাণ্ডে কারা জড়িত, কারা অর্থদাতা বা অস্ত্রদাতা। এছাড়া তিনি ডিবির হারুনের সঙ্গে একাধিক লাইভ করেছেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আদালতকে বলেন, তৌহিদ আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন এবং ছাত্রদের জন্য তার একাধিক পোস্ট রয়েছে। এসময় এজলাসে পুনরায় হট্টগোল শুরু হয়। আইনজীবী উল্লেখ করেন, আফ্রিদির বাবা নাসির উদ্দিন সাথী একজন ব্যবসায়ী এবং রাজনৈতিক কোনো পদ নেই। আদালতের কাছে তার চিকিৎসার জন্য অ্যাম্বুলেন্স সুবিধা চাওয়া হয়।
শেষ পর্যন্ত আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। শুনানি শেষে আফ্রিদিকে হাজতখানায় নেওয়া হয়; এসময় তাকে পেটে হাত দিয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটতে দেখা যায়। হাজতখানার সামনে তার পা খালি ছিল, ভিড়ে জুতা খুইয়েছেন তিনি।
এর আগে ২৪ আগস্ট রাতের দিকে সিআইডি বরিশাল থেকে আফ্রিদিকে গ্রেপ্তার করে। ১৭ আগস্ট রাজধানীর গুলশান থেকে তার বাবা নাসিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং পরদিন তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
মামলার সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় যাত্রাবাড়ী থানাধীন পাকা রাস্তায় মো. আসাদুল হক বাবুর ওপর ছোড়া গুলি তার বুকে ও ডান পাশে লাগে। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ৩০ আগস্ট নিহতের বাবা জয়নাল আবেদীন যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রীসহ ২৫ জনকে আসামি করা হয়। তৌহিদ আফ্রিদি ১১ নম্বর এজাহারভুক্ত।
BD/AN