ফেনীতে সেপটিক ট্যাংক থেকে ছয় বছরের শিশুর মরদেহ উদ্ধার, যুবক আটক

ফেনীতে পরিত্যক্ত সেপটিক ট্যাংক থেকে ছয় বছরের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় রাসেল (১৮) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। মৃত শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয় বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের মাথিয়ারা সোনালী ব্রিকফিল্ড থেকে। আটক রাসেল ময়মনসিংহের গৌরিপুর উপজেলার কলতাপাড়া গ্রামের নূর হোসেনের ছেলে।

বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আরিফুল ইসলাম সিদ্দিকী।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মৃত শিশুটি বুধবার দুপুরে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। স্বজনরা আশপাশের এলাকায় মাইকিং করে খোঁজ করেও তাকে খুঁজে পাননি। রাত সাড়ে ১১টার দিকে স্থানীয়রা খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে সোনালী ব্রিকসের পরিত্যক্ত সেপটিক ট্যাংকের পাশে শিশুর জামা দেখতে পান। পরে ট্যাংকের পানিতে ডুবন্ত অবস্থায় শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় ব্রিকফিল্ডে কর্মরত রাসেলকে সন্দেহজনকভাবে আটক করে স্থানীয়রা পুলিশে সোপর্দ করেন।

স্থানীয় বাসিন্দা কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, এটি একটি অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা। মরদেহ উদ্ধারকালে শিশুর শরীরে কোনো কাপড় ছিল না। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য নূর নবী জানান, আটক রাসেল প্রায় দুই বছর ধরে ব্রিকফিল্ডে কাজ করে। মেয়েটির বাবা ভোলার, মা ময়মনসিংহের, তবে কাজের সুবাদে তারা মাথিয়ারায় একটি কলোনিতে বসবাস করতেন। শিশুটি রাসেলকেও চিনতো। শিশুকে দুপুরে ব্রিকফিল্ডে এনে খাবার দেওয়ার পর তিনি ধর্ষণ করে হত্যা করেন এবং মরদেহ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেন, যা তিনি জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।

ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আরিফুল ইসলাম সিদ্দিকী জানিয়েছেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে একজন যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আইন অনুযায়ী পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Source: Rtv Online