ফ্লাইট এক্সপার্টের তিন শীর্ষ কর্মকর্তা ৪ কোটি টাকা আত্মসাত মামলায়

ফ্লাইট এক্সপার্টের তিন শীর্ষ কর্মকর্তা ৪ কোটি টাকা আত্মসাত মামলায়

The Business Daily

Published : ১৭:২০, ৩ আগস্ট ২০২৫

ঢাকা, ৩ আগস্ট: অনলাইনে বিমান টিকিট বিক্রির প্ল্যাটফর্ম ‘ফ্লাইট এক্সপার্ট’ এর বিরুদ্ধে চার কোটি টাকার বেশি প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় প্রতিষ্ঠানটির তিন শীর্ষ কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

রবিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিনহাজুর রহমান শুনানি শেষে তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। কারাগারে পাঠানো তিন কর্মকর্তা হলেন— হেড অফ ফিন্যান্স মো. সাকিব হোসেন, চীফ কমার্শিয়াল অফিসার সাইদ আহমেদ এবং চীফ অপারেটিং অফিসার এ.কে.এম সাদাত হোসেন।

এদিন তাদের আদালতে হাজির করা হলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক মো. সাদ্দাম হোসেন তাদের আটক রাখার আবেদন করেন। অপরদিকে আসামিপক্ষ জামিন চেয়ে আবেদন করে, তবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মুহাম্মদ শামসুদ্দোহা সুমন জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।

এর আগে, রবিবার ফ্লাইট এক্সপার্টসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় মামলা করেন সরকার ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস-এর স্বত্বাধিকারী মো. বিপুল সরকার। মামলায় অভিযোগ করা হয়, ফ্লাইট এক্সপার্টের মালিক সালমান বিন রশিদ শাহ সায়েম, মক্কা গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ রশিদ শাহ সম্রাটসহ মোট পাঁচ আসামি বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সি ও ব্যক্তির কাছ থেকে মোট চার কোটি ৭৯ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন।

অভিযোগে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে ফ্লাইট এক্সপার্ট অনলাইনে বিমান টিকিট, হোটেল বুকিং, প্যাকেজ ট্যুর, হজ ও ওমরাহ সেবা দিয়ে আসছিল। প্রতিষ্ঠানটি কিছু অনুমোদিত ট্রাভেল এজেন্সির আইএটিএ (আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন সংস্থা) নম্বর ব্যবহার করে টিকিট বিক্রি করত। ব্যবহারকৃত এজেন্সিগুলোর মধ্যে ছিল হাজী ইয়ার ট্রাভেলস লিমিটেড, সোমা ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিস ও প্রোমা নামের প্রতিষ্ঠান।

গত ২ আগস্ট সকাল থেকে প্রতিষ্ঠানটির অনলাইন সেবা বন্ধ হয়ে গেলে শতাধিক ট্রাভেল এজেন্সি ও ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানটির মতিঝিলের অফিসে হাজির হন। কিন্তু তারা দেখেন, অফিস খোলা থাকলেও কেউ সেখানে উপস্থিত নেই এবং কোনো সেবা প্রদান করা হচ্ছে না।

পরবর্তীতে জানা যায়, ফ্লাইট এক্সপার্টের মালিক সালমান বিন রশিদ শাহ সায়েম এবং মক্কা গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ রশিদ শাহ সম্রাট প্রায় পাঁচ থেকে ছয় হাজার কোটি টাকা প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে এবং আসামিদের বিষয়ে আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।

শেয়ার করুনঃ
Advertisement