বিএনপি চেয়ারপারসন ও দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটায় বুধবার (২৩ জুলাই) দিবাগত রাতে রাজধানীর গুলশানস্থ নিজ বাসা “ফিরোজা” থেকে তাঁকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। তিনি জানান, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার অংশ হিসেবে বেগম খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। তবে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হবেন কি না, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। হাসপাতালে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফলের ওপর ভিত্তি করেই চিকিৎসকরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান ডা. জাহিদ হোসেন। প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে লিভার, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ নানা জটিল রোগে ভুগছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। সম্প্রতি লন্ডনে চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরার পর এটি তাঁর দ্বিতীয়বারের মতো এভারকেয়ার হাসপাতালে চেকআপের জন্য যাওয়া।
এর আগে দেশে ফিরে প্রথম দফায়ও তাঁকে নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর স্বাস্থ্যের প্রতি নিবিড় পর্যবেক্ষণ রাখছে। এর আগে পরিবার ও বিএনপির পক্ষ থেকে বারবার তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর অনুমতি চাওয়া হলেও সরকার থেকে তা অনুমোদন দেওয়া হয়নি। এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়ার খবরে রাত থেকেই বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই খোঁজখবর নিতে গুলশান ও হাসপাতাল এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেন। দলের শীর্ষ নেতারাও খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা জানতে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন বলে জানা গেছে। বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে যে কোনো প্রয়োজনে মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ নিশ্চিত করতে প্রস্তুত রয়েছে তাঁর পরিবার ও ঘনিষ্ঠ সহচররা। উল্লেখ্য, ২০২১ সালে গুরুতর অসুস্থ হয়ে একাধিকবার হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল খালেদা জিয়াকে।
সেই থেকে নিয়মিত চেকআপ ও বিশেষ চিকিৎসার আওতায় রাখা হয় তাঁকে। এখন পর্যন্ত দেশে থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি। তবে চিকিৎসকরা এর আগে বারবার বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুপারিশ করে আসছিলেন। বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনায় দল ও সমর্থকদের পক্ষ থেকেও দেশব্যাপী দোয়া ও প্রার্থনার কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতির কথাও ভাবা হচ্ছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।