পোড়া শরীর নিয়ে দৌঁড়ানো ছেলেটি রোহান

Published : ১৩:১৮, ২৪ জুলাই ২০২৫
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজের স্কুল ভবনে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর বেঁচে থাকার জন্য মরিয়া হয়ে স্কুল মাঠে দৌড়াচ্ছিল এক শিক্ষার্থী। তার জামা কাপড় সব পুড়ে শরীরের সাথে লেগে গেছে।
শরীরের পা থেকে গলা পর্যন্ত বেশিরভাগ অংশের চামড়া ঝলসানো অবস্থায় দৌড় দেয়া শিশুটির নাম রবিউল হাসান নাবিল। পরিবারের কাছে রোহান নামে পরিচিত। সে স্কুলের ইংরেজি সংস্করণের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।
তার জ্বলন্ত ছবি পুরো জাতিকে নাড়া দিয়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেলেটির ভিডিও দেখে মানুষ কেঁদেছিল। অনেকেই ছেলেটির বেঁচে থাকার জন্য প্রার্থনায় হাত তুলেছিল।
মঙ্গলবার মেট্রোরেলে এক ব্যক্তি মোবাইল ফোনে কারো সঙ্গে কথা বলছিলেন। মাঝে মধ্যেই হাউমাউ করে কাঁদছিলেন। মেট্রোরেলের ওই কোচের সকল যাত্রীর দৃষ্টি পড়ে যায় ওই ব্যক্তির ওপর। মোবাইল ফোনে কথা বলা শেষে তার কাছে কেন কাঁদছেন, জানতে চাইলে বলেন, আমার ছেলেটা বিমান দুর্ঘটনায় দগ্ধ হয়েছে। তাকে বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।’
ওই ব্যক্তির নাম নিজাম উদ্দিন। তিনি পেশায় পাইলিং ঠিকাদার। চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে তার বাড়ি। পরিবারটি উত্তরার সেক্টর ১২-এর ১৫ নম্বর রোডের ৫০ নম্বর বাড়ির দ্বিতীয় তলার ফ্ল্যাটে থাকে। রোহান এখন বার্ন ইনস্টিটিউটের হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) চিকিৎসাধীন, ৫০ শতাংশ আগুনে পুড়ে গেছে তার শরীর।
তিনি বলেন, ‘রোহান তার পোড়া শরীর নিয়ে দৌড়াচ্ছিল। তার পরনে কোনও পোশাক ছিল না। এক পর্যায়ে, কিছু লোক তাকে ওই অবস্থায় রিকশায় করে উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে যায়। আমার ছোট ছেলেটি সাহসী। ভিডিওটি দেখে লোকেরা আতঙ্কিত হলেও, তার হৃদয় ছিল শক্তিশালী। হাসপাতালে, সে নিজেই তার মায়ের মোবাইল নম্বর দিয়েছিল।