খাগড়াছড়ির গুইমারায় হামলা: অপরাধীদের ছাড় নয়

Published : ২১:৩৬, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলায় দুষ্কৃতকারীদের হামলায় তিন পাহাড়ি নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় মেজরসহ ১৩ জন সেনাসদস্য, গুইমারা থানার ওসিসহ তিন পুলিশ সদস্য এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন। সরকার জানিয়েছে, এ ঘটনায় জড়িত কোনো অপরাধীই ছাড় পাবে না।
রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায় এবং এ হামলায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করে।
মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা (উপপ্রধান তথ্য অফিসার/পরিচালক) ফয়সল হাসানের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হামলার ঘটনায় দ্রুত তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সঙ্গে সবাইকে ধৈর্য ধরে শান্ত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি। তবে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক আহসান হাবিব পলাশ জানান, মরদেহগুলো বর্তমানে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে রাখা হয়েছে।
এরই মধ্যে খাগড়াছড়িতে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পাহাড়ি এক স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার পর থেকে অবরোধ, মিছিল ও সমাবেশে সহিংসতা বাড়তে থাকে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সকালে জেলার বিভিন্ন এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছের গুঁড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করা হয়।
শনিবার দুপুরে অবরোধ চলাকালে সদর উপজেলা পরিষদ এলাকা, মহাজনপাড়া, নারিকেল বাগান, চেঙ্গী স্কোয়ার ও শহীদ কাদের সড়কে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল ছোড়ে।
অভিযোগ রয়েছে, স্বনির্ভর ও নারিকেল বাগান এলাকায় বেশ কিছু দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় দুপুর থেকে খাগড়াছড়ি পৌরসভা, সদর উপজেলা এবং গুইমারা উপজেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। এ ছাড়া ৭ প্লাটুন বিজিবি, সেনাবাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বিডি/এএন