জাকসু ভোটে কারচুপি প্রমাণ হলে কমিশনারের পদত্যাগ
Published : ১৪:২০, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে ভোটিং প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে তোলপাড়ের মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান তার অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে ভোট কারচুপির অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমরা হলগুলোতে একাধিক স্তরে ভোটারদের তথ্য যাচাই-বাছাই করে ভোট গ্রহণ করেছি।
সেখানে প্রার্থীদের পোলিং এজেন্ট উপস্থিত ছিলেন। পোলিং অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তারা তাদের দায়িত্ব পালন করেছেন। সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে এবং জায়ান্ট স্ক্রিনে প্রদর্শন করা হয়েছে। সবার সামনেই ভোট হয়েছে। কেউ আমাকে ভোট কারচুপি বা জালিয়াতির অভিযোগ করেননি।”
প্রধান কমিশনার উল্লেখ করেন, “কিছু মানুষের দাবি অনুযায়ী ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভোট গণনা করতে হয়েছে, যা ফলাফল বিলম্বের একমাত্র কারণ। যারা পুরো প্রক্রিয়ায় জড়িত ছিলেন, তারা ভোটকে বিতর্কিত করতে চেয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের কোনো সদস্য যদি ভোটগ্রহণ নিয়ে অভিযোগ করে থাকেন, তবে ভোটগ্রহণের দিন পদত্যাগ করাই উচিৎ ছিল। আজ পদত্যাগ করা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার একটি প্রচেষ্টা মাত্র।”
তিনি আরও বলেন, “ভোট গণনার কাজে একাধিক শিক্ষক সম্পৃক্ত ছিলেন। সবকিছু সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনে হয়েছে। ভোটগ্রহণে কারচুপি বা জাল ভোটের প্রমাণ পাওয়া গেলে আমি চাকরি ছেড়ে দেব এবং কোনো পেনশনও গ্রহণ করব না।”
মনিরুজ্জামানের এই মন্তব্য জাকসু নির্বাচনে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার ওপর তার দৃঢ় প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করছে। এ ধরনের মন্তব্য বিতর্কিত অভিযোগের মধ্যে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আস্থা ও সমালোচকদের প্রতিক্রিয়ার প্রেক্ষাপট তৈরি করেছে।
BD/AN





























