জাকসু নির্বাচন শেষে ড. রেজওয়ানা করিম স্নিগ্ধার পদত্যাগ
Published : ১৮:৩২, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের আওয়ামীপন্থী বঙ্গবন্ধু পরিষদের শিক্ষক নেত্রী অধ্যাপক ড. রেজওয়ানা করিম স্নিগ্ধা নির্বাচন কমিশনের সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
শনিবার বিকেল ৪টার দিকে জাকসু নির্বাচনের ভোট গণনা শেষ হওয়ার পর প্রোভিসি অধ্যাপক ড. সোহেল আহমেদ জানান, স্নিগ্ধা পদত্যাগ করেছেন। এর আগে দুপুর ২টায় তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
উপাচার্য বরাবর লেখা পদত্যাগপত্রে অধ্যাপক স্নিগ্ধা উল্লেখ করেন, “সবিনয় নিবেদন এই যে, শিক্ষার্থীদের বহু আকাঙ্ক্ষিত জাকসু নির্বাচন, ২০২৫-এর জন্য আমি নির্বাচন কমিশনের একজন সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলাম। নির্বাচনের চলাকালীন আমি আকস্মিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ি এবং কমিশন কার্যালয় থেকে সরাসরি এভার কেআর হাসপাতালে ভর্তি হই। ফলে বিগত কয়েকদিনে নির্বাচনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত-যেমন ব্যালট পেপার, বাজেট চূড়ান্তকরণ এবং অমর্ত্য রায়ের ভিপি পদ প্রার্থিতা বাতিল সংক্রান্ত বিষয় সম্বন্ধে আমি যথাযথভাবে অবহিত ছিলাম না। এমনকি এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো আমাকে জানানো হয়নি এবং প্রশাসন ও কমিশন একচ্ছত্রভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।”
তিনি আরও লিখেছেন, “তারপরও আমি শারীরিক অসুস্থতার পরও ভোট গণনার সময় উপস্থিত ছিলাম এবং যথাসাধ্য নিষ্ঠার সঙ্গে একজন নির্বাচন কমিশন সদস্য হিসেবে আমার কর্তব্য পালনের চেষ্টা করেছি। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য, ভীষণ প্রশাসনিক দুর্বলতা, অতিমাত্রার রাজনৈতিক সমীকরণ, এমনকি একজন শিক্ষকের অকাল প্রয়াণ যিনি ভোট গণনার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ পাননি তাকেও নির্বাচন প্রক্রিয়ায় যুক্ত করার মিথ্যা অভিযোগ এবং অদৃশ্য চাপ আমাকে নৈতিকভাবে বাধাগ্রস্ত করছে।”
অবশেষে তিনি উল্লেখ করেছেন, “৩৩ বছরের ইতিহাসে শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি জাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের নেতৃত্ব গঠন করা বা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃহত্তর স্বার্থ রক্ষা করা। কিন্তু যখন এটি শুধুমাত্র রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য ব্যবহৃত হয়, তখন একজন নিরপেক্ষ শিক্ষক হিসেবে এই কমিশনে সদস্য পদে থাকা আমার পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়ে।”
BD/AN





























