জাকসুর নবনির্বাচিত ভিপি আব্দুর রশিদ জিতু কি তার পরিচয়

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রশিদ জিতু।

শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে জাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান ভিপি হিসেবে জিতুর নাম ঘোষণা করেন।

আব্দুর রশিদ জিতু বর্তমানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘গণঅভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলন’ প্ল্যা

টফর্মের আহ্বায়ক। কোটা সংস্কার আন্দোলনের আগে তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন, তবে আন্দোলনের সময় সর্বপ্রথম ছাত্রলীগের হাতে মার খেয়ে আহত হন। পরে, আরিফ সোহেল আটক হলে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ব্যানারে তিনি ফার্স্ট ম্যান হিসেবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত জাহাঙ্গীরনগরের আন্দোলন পরিচালনা করেন। এরপর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক পদ থেকে পদত্যাগ করে ‘গণঅভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলন’ নামে নতুন প্ল্যাটফর্ম গঠন করেন এবং বিভিন্ন ক্যাম্পাস কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন।

এই নির্বাচনে ১১,৭৫৯ জন ভোটারের মধ্যে প্রায় ৬৮ শতাংশ শিক্ষার্থী ভোট দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় সংসদের ২৫টি পদে মোট ১৭৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৯ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ৮ জন এবং যুগ্ম সম্পাদক (এজিএস) পদে ১৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। নারী প্রার্থীর সংখ্যা ৬।

নির্বাচনে মোট আটটি পূর্ণ ও আংশিক প্যানেল অংশ নিয়েছে। তবে ভোট গ্রহণ শুরুর পর কারচুপির অভিযোগ তুলে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলসহ পাঁচটি প্যানেল নির্বাচন বর্জন করে। বর্জনকারীদের মধ্যে রয়েছে প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের সম্প্রীতির ঐক্য, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্র ফ্রন্টের ‘সংশপ্তক পর্ষদ’, এবং স্বতন্ত্রদের ‘অঙ্গীকার পরিষদ’। এছাড়া ছাত্র ফ্রন্টের একটি বিভাজিত অংশ এবং কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থীও ভোটগ্রহণ বর্জনের ঘোষণা দেন।

জাকসু নির্বাচনে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদ ছাড়া বাকি ২০ পদে শিবিরের নিরঙ্কুশ জয় হয়েছে। এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হলে ১১,৮৯৭ জন শিক্ষার্থী ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন; এর মধ্যে ৬,১১৫ জন ছাত্র এবং ৫,৭৮২ জন ছাত্রী। ভোটগ্রহণের জন্য ২১টি কেন্দ্রে মোট ২২৪টি বুথ স্থাপন করা হয়।