আমি সুনামগঞ্জের জামাই, যা বলব তাই হবে

আমি সুনামগঞ্জের জামাই, যা বলব তাই হবে

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ২০:৩৫, ২১ আগস্ট ২০২৫

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সোলেমান মিয়া প্রধান শিক্ষকদের মাসিক সমন্বয় সভায় শিক্ষকদের বিরুদ্ধে হুমকি প্রদানের অভিযোগে উত্তাল সৃষ্টি করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ১১ আগস্ট অনুষ্ঠিত ওই সভায় তিনি প্রকাশ্যে বলেছেন, “আমি সুনামগঞ্জের জামাই, আমার বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস কারোর নেই। এক পা পাড়া দিয়ে ধরে, আরেক পা টেনে ছিঁড়ে ফেলবো। যা বলব তাই হবে।”

শিক্ষকরা জানান, হাওর ভাতা সংক্রান্ত ফেসবুক পোস্ট ও কমেন্টের প্রেক্ষিতে এমন আচরণ করেছেন মো. সোলেমান মিয়া। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষক কর্মকর্তা লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। অভিযোগ অনুযায়ী, শিক্ষকদের বক্তব্যে তিনি অশোভন ও হুমকিস্বরূপ ভাষা ব্যবহার করেছেন।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষক কর্মকর্তা মো. মাহবুবুল জামানকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষক কর্মকর্তা মোহন লাল দাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অন্যদিকে, মো. সোলেমান মিয়া অভিযোগগুলো মিথ্যা দাবি করেছেন। তিনি বলেন, “আমি শিক্ষকদের ভালোবাসি। অভিযোগ করা হয়েছে যাদের নিজের মতো চলতে ইচ্ছে করে তাদের পক্ষ থেকে। শিক্ষকদের পা ছিঁড়ার কথা আমি বলিনি। তবে শিক্ষার উন্নয়নে সবাইকে নিয়ম মেনে কাজ করতে হবে। হাওর ভাতার বিষয়ে আমরা যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছি।”

এ ঘটনায় ১৩ আগস্ট সহকারী শিক্ষক হোসেন আহমদ, প্রধান শিক্ষক নারায়ন চক্রবর্তী, সহকারী শিক্ষক হেলাল আবেদীন, দ্বীপ পুরকায়স্থ, সহকারী শিক্ষক হাদি-উ-জ্জামান ও নূরে আলম সিদ্দিকসহ ৮ জন শিক্ষকের কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়। ২০ আগস্ট তারা নোটিশের জবাব দিয়েছেন।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষক কর্মকর্তা জানান, শিক্ষকদের সঙ্গে আচরণে এমন কথাবার্তা বলা উচিত নয়। ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখি করার সময় শিক্ষক-কর্মচারীদের সতর্ক থাকারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আগামী সোমবার তদন্তের জন্য সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষক কর্মকর্তা তাহিরপুরে উপস্থিত থাকবেন।

BD/AN

শেয়ার করুনঃ
Advertisement