রাজবাড়ীতে ডেঙ্গুর প্রকোপ দ্বিগুণ

Published : ২৩:৪৭, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রাজবাড়ীতে হঠাৎ করে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে। জেলা সদর হাসপাতালের পাশাপাশি চারটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। গত এক মাসেই জেলায় রোগীর সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, রাজবাড়ীর চারটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জুলাই মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৩৮ জন, যা আগস্টে বেড়ে দাঁড়ায় ৬১ জনে। চলতি বছরের মে মাসে আক্রান্ত ছিলেন মাত্র ৫ জন, জুনে ৮ জন। এছাড়া আগস্ট মাসে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪ জন রোগী। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত জেলায় ১২৬ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে।
রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি রোগী অনিক মাহমুদ জানান, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে তিনি চারদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। চিকিৎসকেরা প্রতিদিন তার প্লাটিলেট পরীক্ষা করছেন। বর্তমানে আগের তুলনায় কিছুটা সুস্থতার দিকে যাচ্ছেন।
আরেক রোগী আলম শেখ অভিযোগ করে বলেন, “আমার রিপোর্টে ডেঙ্গু ধরা পড়েনি, তবু আমাকে ডেঙ্গু রোগীদের সঙ্গেই একই ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। এতে আমাদেরও সংক্রমণের ঝুঁকি আছে। ডেঙ্গু রোগীদের সবসময় মশারির ভেতরে রাখা উচিত, কিন্তু তারা বেশিরভাগ সময় তা মানছেন না। তাই আমরা চাই, ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড করা হোক।”
জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শেখ মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান বলেন, জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী আসছেন এবং তাদের যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তিনি সবাইকে ডেঙ্গু সম্পর্কে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
রাজবাড়ীর সিভিল সার্জন ডা. এস এম মাসুদ জানান, এখন ডেঙ্গুর মৌসুম চলছে। তবে পরিস্থিতি এখনো মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছায়নি। জেলায় এ পর্যন্ত কারও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আরও দুই মাসের মধ্যে ডেঙ্গুর মৌসুম কেটে যাবে।
রাজবাড়ী পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তায়েব আলী বলেন, পৌর এলাকায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কার্যক্রম কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। পর্যাপ্ত কাভার্ড ভ্যান না থাকায় পুরো শহরের ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করা যাচ্ছে না। এছাড়া মশা নিধন ওষুধ না থাকায় ফগিং কার্যক্রমও সীমিত। পৌরসভায় কয়েকটি ফগার মেশিন থাকলেও ভালো অবস্থায় আছে মাত্র দুটি। তিনি বলেন, “প্রশাসককে বিষয়টি জানানো হয়েছে। সরঞ্জাম পেলে পৌরবাসীকে কাঙ্ক্ষিত সেবা দেওয়া সম্ভব হবে।”
BD/AN