ডাকসু নির্বাচন স্থগিতের হাইকোর্ট আদেশে ‘ব্রেক’ টানল চেম্বার জজ আদালত

Published : ১৭:৪১, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন নিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশ বাতিল করেছেন চেম্বার জজ আদালত। এ প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষের আইনজীবী শিশির মনির সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন।
শিশির মনির জানান, বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে তারা হাতে লিখিত আবেদন দাখিল করেছিলেন। আদালত আবেদন গ্রহণ করে হাইকোর্টের দেওয়া ডাকসু নির্বাচন স্থগিতের আদেশ সাময়িকভাবে স্থগিত করেন। ফলে ডাকসু নির্বাচনের আয়োজন, পরিচালনা কিংবা প্রার্থীদের প্রচারণায় এখন আর কোনো বাধা নেই।
তিনি বলেন, “আমরা আগামীকাল সকালে অফিস খোলার পর সিএমপি দায়ের করব। আশা করছি, আদালতে বিষয়টির গুরুত্বের ভিত্তিতে শুনানি হবে। সেই পর্যন্ত হাইকোর্টের আদেশ কার্যকর থাকছে না।”
শিশির মনির আরও জানান, এসএম ফরহাদ সংক্রান্ত বিষয়ে হাইকোর্ট কোনো নির্দিষ্ট নির্দেশ দেননি। আদালত কেবল রুল জারি করেছেন। চেম্বার জজ আদালতে পূর্ণাঙ্গ শুনানি শেষে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
এর আগে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি হাবিবুল গণি ও বিচারপতি এস কে তাহসিন আলীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ডাকসু নির্বাচন স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেখানে রিটকারী পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ছিলেন শিশির মনির।
তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা রয়েছে। এবারের ডাকসুতে মোট ২৮ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ৪৭১ জন প্রার্থী। এর মধ্যে নারী প্রার্থী ৬২ জন। সদস্য পদে একাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২১৭ জন প্রার্থী। অন্যদিকে ১৮টি হলে মোট ১৩টি পদে ১ হাজার ৩৫ জন প্রার্থী চূড়ান্ত হয়েছেন।
প্রার্থী সংখ্যা অনুযায়ী সহসভাপতি (ভিপি) পদে লড়ছেন ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ১৯ জন, সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) ২৫ জন, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক ১৭ জন, কমনরুম-রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক ১১ জন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ১৪ জন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ১৯ জন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ১২ জন, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক ৯ জন, ক্রীড়া সম্পাদক ১৩ জন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক ১২ জন, সমাজসেবা সম্পাদক ১৭ জন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক ১৫ জন, মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক ১১ জন এবং ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৫ জন।
প্রাথমিক যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পড়া ১০ জন প্রার্থী আপিল না করায় তাদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়। এছাড়া ২৮ জন প্রার্থী স্বেচ্ছায় প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন। এর ফলে চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা দাঁড়ায় ৪৭১ জনে।
BD/AN