ব্যবসায়ী তোয়াজ উদ্দিন হত্যার রহস্য উন্মোচন

Published : ১৯:০৪, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কেশবপুর গ্রামে আলোচিত ব্যবসায়ী তোয়াজ উদ্দিন শেখ (৫৫) হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। ঘটনার ১৯ দিন পর খুলনার বটিয়াঘাটা এলাকা থেকে তানভীর হাসান (১৮) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত ৩ সেপ্টেম্বর তোয়াজ উদ্দিনের বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ বের হলে স্থানীয়রা পুলিশ কে খবর দেয়। পরে সদর থানা পুলিশ ঘরের তালা ভেঙে প্রবেশ করে তোষকে ঢাকা অবস্থায় তাঁর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে। মৃতদেহের দুই পা বাঁধা ছিল এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন ছিল। ঘটনাস্থলের দেয়ালে লেখা ছিল তোয়াজ কে মারার কারন "সে মুহাম্মাদ (সঃ)-কে গালি দিসে... আল্লাহু আকবর।’
এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। তোয়াজ উদ্দিনের ভাই আকাচ্চ আলী বাদী হয়ে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) জহিরুল ইসলামকে।
পুলিশ ও সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলের যৌথ অভিযানে গত ২২ সেপ্টেম্বর দুপুরে খুলনার বটিয়াঘাটা থেকে মূল আসামি তানভীর হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত পাথরের শীল ও দেয়ালে লেখার জন্য ব্যবহৃত মার্কার কলম উদ্ধার করে পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদে তানভীর জানায়, ভিকটিম তোয়াজ উদ্দিনের সঙ্গে ২০২২ সালে তাঁর পরিচয় হয়। সন্তানহীন তোয়াজ উদ্দিনের সঙ্গে পরবর্তীতে ‘সমকামিতার সম্পর্ক’ তৈরি হয়। ১ সেপ্টেম্বর রাতে তোয়াজ উদ্দিন জোরপূর্বক অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করলে ক্ষুব্ধ হয়ে তানভীর শীল পাথর দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করে হত্যা করে। এরপর পা বেঁধে মরদেহ তোষকে ঢেকে রেখে যায়। হত্যার পর ভিকটিমের মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় তানভীর।
পরদিন যশোর থেকে ভিকটিমের বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে ৪ হাজার ৭৭০ টাকা উত্তোলন করে এবং মোবাইল ফোনটি ভৈরব নদীতে ফেলে দেয় বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে আসামি।
এ ঘটনায় ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার বলেন, চাঞ্চল্যকর এই হত্যার রহস্য উদঘাটন ও আসামি গ্রেপ্তার আমাদের বড় সাফল্য। মামলার বাকি তদন্ত চলছে।
BD/AN