এনসিপির মতো জনসমর্থনহীন দলকে যুক্তরাষ্ট্র সফরে নেওয়া উচিত ছিল না

Published : ০০:২৭, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে অংশগ্রহণের জন্য প্রধান উপদেষ্টার সরকারি সফরসঙ্গী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন কয়েকজন রাজনৈতিক দলের নেতা। তবে বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার সময় তারা আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীদের হামলার মুখে পড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনা রাজনৈতিক অঙ্গনে সমালোচনা ও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
সমালোচকরা বলছেন, প্রধান উপদেষ্টা সরকারের প্রধান হিসেবে সফরে থাকলেও রাজনৈতিক নেতাদের তাকে সঙ্গ দিতে নেওয়া ঠিক হয়নি। বিশেষ করে এমন নেতারা যাদের উপস্থিতি ‘বডিগার্ড’ হিসেবে প্রতীয়মান হয়েছে। কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন, সরকার যদি বিশ্ববাসীর কাছে দেখাতে চায় যে সব রাজনৈতিক পক্ষ ঐক্যবদ্ধ, তবে সেটি দেখানোর জন্য এই ধরনের সফরে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নেওয়া অপরিহার্য ছিল না।
এছাড়া প্রশ্নও উঠেছে যে বিএনপি ও জামায়াতের মতো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে এনসিপির প্রতিনিধিরাও কীভাবে এই সফরে অংশগ্রহণ করলেন। উল্লেখ্য, এনসিপি এখনও নির্বাচন কমিশনের তালিকাভুক্ত নয় এবং তাদের কোনো প্রমাণিত জনসমর্থন নেই।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ এই সফরকে ইতিবাচকভাবে দেখেছেন। তিনি বলেন, “যারা দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছে, মাফিয়া শাসনের অবসান ঘটিয়েছে, তাদের নিয়ে ভবিষ্যতের সরকার গঠিত হবে। এই সংকল্প ও সদিচ্ছা বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরতেই এই সফর আয়োজন করা হয়েছে। আমি মনে করি, এটি সঠিক সিদ্ধান্ত।”
তবে হাফিজ উদ্দিন বলেন, “এনসিপির মতো একটি অনিবন্ধিত এবং জনসমর্থনহীন দলকে নেওয়া উচিত ছিল না।”
ড. ইউনূসের সফরসঙ্গীদের ওপর হামলার প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “আওয়ামী লীগ বরাবরই সহিংসতার সঙ্গে যুক্ত। তারা শুধু দেশে নয়, বিদেশেও সহিংসতা ছড়াচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে হামলাকারীদের নাম-পরিচয় ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে। আমরা আশা করি যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। এছাড়া বাংলাদেশ দূতাবাসেরও এ বিষয়ে সক্রিয় ভূমিকা থাকা উচিত।”
BD/AN