চাঁদা না পেয়ে টেম্পু স্ট্যান্ডে ভাঙচুর চালালেন যুবদলের নেতাকর্মীরা

Published : ০০:৪৭, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ফরিদপুরে চাঁদা না পাওয়ায় শহরের টেম্পু স্ট্যান্ডে ভাঙচুর চালিয়েছে জেলা যুবদলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা। জেলা শাখার সহসভাপতি মাসুদুর রহমান লিমনের নির্দেশে মঙ্গলবার বিকেলে শহরের ভাঙা রাস্তার মোড়ে এই হামলা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে কমপক্ষে ১৬টি মাহেন্দ্র গাড়ি ভাঙচুরের তথ্য জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শী এবং ক্ষতিগ্রস্ত চালকরা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য অনুযায়ী, ৫০–৬০ জন দুর্বৃত্ত লাঠিসোঁটা নিয়ে ভাঙা রাস্তার মোড়ে টেম্পু স্ট্যান্ডে হামলা চালিয়ে অপেক্ষমাণ কমপক্ষে ১৬টি গাড়ি ভাঙচুর করে।
প্রবীণ চালক মো. লাভলু জানান, হাজরাতলা মোড় থেকে সালথাগামী একজন মাহেন্দ্র চালক নিয়ম ভঙ্গ করে যাত্রী তুলতে গেলে লাইনম্যান বাধা দেন। এর পর তাদের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। কিছুক্ষণ পর যুবদলের নেতা লিমনের নির্দেশে হামলা চালানো হয়। হামলায় লিমনের সহযোগী সোহেল, শাহিন ও মিন্টুর নেতৃত্বে ৭০–৮০ জন দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে অংশ নেন। হামলায় কয়েকজন আহত হন।
ফরিদপুর মাহেন্দ্র চালক ইউনিয়নের সড়ক সম্পাদক লিয়াকত আলী বাবু মোল্লা জানান, গত বছরের ৫ আগস্টের পর জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি লিমনের নেতৃত্বে ভাঙা রাস্তার মোড়ে মাহেন্দ্র গাড়ি থেকে ট্রিপ প্রতি ৫০ টাকা হারে চাঁদা নেওয়া হচ্ছিল। সম্প্রতি গাড়িচালকরা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে, লিমন ক্ষুব্ধ হয়ে যাত্রী ওঠা সংক্রান্ত তর্কের অজুহাতে হামলা চালান।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান লিমন বলেন, “আমি গ্রামের বাড়িতে জমিজমা সংক্রান্ত ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত ছিলাম। এই ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত নই। কিছু মহল আমার নাম জড়িয়ে মিথ্যাচার করছে।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদপুর জেলা যুবদলের সভাপতি রাজিব হোসেন বলেন, “আমি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নই। আমি শহরের বাইরে গেরদা ইউনিয়নে একটি প্রোগ্রামে আছি। যদি এমন ঘটনা ঘটে থাকে, তবে তা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। যুবদল এ ধরনের কর্মকাণ্ড কখনোই সমর্থন করে না।”
BD/AN