স্বামীকে বেঁধে নববধূকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ

Published : ০০:১২, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে এক নববধূকে গণধর্ষণের শিকার করেছে চার যুবক। বিয়ের পর স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে বাবার গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে আসা ওই নববধূর স্বামীকে তারা বেঁধে রেখে তার স্ত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ঘটনার সময় ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করা হয় এবং পরে ওই ভিডিও দেখিয়ে পুনরায় কুপ্রস্তাবও দেওয়া হয়।
ঘটনাটি ঘটেছিল ১৭ জুন রাতে। তিন মাস পর, ২০ সেপ্টেম্বর, নববধূর মা বাদী হয়ে দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানায় মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
জানা গেছে, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ১৮ বছর বয়সী ওই তরুণী ঢাকায় পরিবারের সঙ্গে বসবাস করেন এবং গৃহকর্মীর কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। বিয়ের কিছুদিন পর ঈদের ছুটি কাটাতে বাবার গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে আসেন তিনি। ঘটনার রাতে দম্পতি বাড়ির সামনে রাস্তায় কথা বলছিলেন। তখন একই গ্রামের চার যুবক তাদের কাছে বিয়ের কাবিননামা আছে কিনা জানতে চায়। এ কথার প্রেক্ষিতে তারা নবদম্পতির স্বামীকে পিটিয়ে আহত করে বেঁধে রেখে এবং তার স্ত্রীকে পাশের স্থানে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
লোকলজ্জার ভয়ে নবদম্পতি বিষয়টি গোপন রেখে ঢাকায় চলে যান। কিন্তু ধর্ষণের ভিডিও তরুণীকে পাঠিয়ে পুনরায় কুপ্রস্তাব দেওয়ার পর ঘটনা পরিবারের কাছে পৌঁছায়। বিষয়টি জানতে পেয়ে নববধূর মা থানায় মামলা করেন।
মামলার আসামিরা হলেন—চকারচর গ্রামের শাহাজলের ছেলে আলিম (২৭), শিক্ষক কবিরুল মাস্টারের ছেলে বিদ্যালয় ঝাড়ুদার রিপন (২৬), আমের আলীর ছেলে বিপ্লব (২৬) এবং মিরাজুলের ছেলে খলিল (২৫)।
গত ২১ সেপ্টেম্বর দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার পুলিশ গাজীপুরের কোনাবাড়ী থেকে বিপ্লবকে গ্রেপ্তার করে। নববধূর মা জানিয়েছেন, স্থানীয় প্রভাবশালীর ছেলেরা তার মেয়েকে গণধর্ষণ করেছে।
দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, “গণধর্ষণের মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার জামালপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে।”
ওসি নাজমুল হাসান জানান, “চারজনের মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”
BD/AN