জুলাই গণঅভ্যুত্থানের যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরীফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক সংস্থা কমনওয়েলথ।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) কমনওয়েলথের মহাসচিব শির্লে বোচওয়ে এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে শোক জানিয়ে একই সঙ্গে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগের কথা জানান।
বিবৃতিতে কমনওয়েলথ মহাসচিব বলেন, শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে তিনি বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের শোকের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার ও স্বজনদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছেন।
ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন এলাকায় সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি তাকে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধা বজায় রাখা এবং গণমাধ্যমকর্মীসহ সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছেন। একই সঙ্গে সহিংসতায় জড়িতদের জবাবদিহির আওতায় আনার বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতিকে তিনি স্বাগত জানান।
পাশাপাশি সংযম, দায়িত্বশীল আচরণ এবং ঘৃণামূলক বক্তব্য পরিহারের যে আহ্বান জানানো হয়েছে, তাতেও তিনি একমত পোষণ করেন। এই সংকটময় সময়ে শান্তি বজায় রাখা এবং সর্বোচ্চ ধৈর্য ও বিচক্ষণতা প্রদর্শনের আহ্বানে নিজেও শামিল হওয়ার কথা জানান কমনওয়েলথ মহাসচিব।
এদিকে শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধি প্রাঙ্গণে শহীদ শরীফ ওসমান হাদির দাফন সম্পন্ন করা হয়।
গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগরে তাকে গুলি করে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের এক সন্ত্রাসী। টানা সাত দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর শেষ পর্যন্ত তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
গত বৃহস্পতিবার রাতে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষুব্ধ জনতা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে জড়িয়ে পড়ে, যা পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তোলে।



























