ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে তিনি সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
শুক্রবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক জানিয়েছেন, হাদির হত্যাকাণ্ড জাতিসংঘের নজরে এসেছে। মহাসচিব এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে নিহতের পরিবার ও প্রিয়জনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ড অনুসরণ করে এই হত্যাকাণ্ডের দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্ত পরিচালনা করুন। এছাড়া তিনি সব পক্ষকে সহিংসতা থেকে বিরত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হতে পারে।
শহীদ হাদি জাতীয় নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ছিলেন। নির্বাচনী প্রচারণার সময় ১২ ডিসেম্বর দুপুরে তাকে গুলি করে গুরুতর আহত করা হয়। প্রথমে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হলেও অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ১৫ ডিসেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানেই ১৮ ডিসেম্বর রাত পৌনে ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়। হাদির মরদেহ ২০ ডিসেম্বর দেশে ফিরে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশে সমাহিত করা হয়েছে।
ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ফয়সাল করিম মাসুদকে মূল হামলাকারী হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তার সহযোগী আলমগীর শেখ মোটরসাইকেলের চালক ছিলেন। জানা গেছে, তারা দুজন সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন। এই ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত এখন পর্যন্ত ১৪ জনকে আটক ও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও র্যাব।































