আদালতে ব্যারিস্টার সুমন, জানতে চাইলেন ফুটবল একাডেমির খবর

আদালতে ব্যারিস্টার সুমন, জানতে চাইলেন ফুটবল একাডেমির খবর

The Business Daily

Published : ১৬:২৫, ২১ জুলাই ২০২৫

হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানিতে আদালতে হাজির হয়ে নিজের গড়া ‘ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমির’ খোঁজ নিলেন হবিগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সোমবার (২১ জুলাই) ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে শুনানি চলাকালে তিনি একাডেমির অধিনায়ক সৈকত হেলালের সঙ্গে কথা বলেন। জুলাই আন্দোলনের সময় রাজধানীর মুগদার মানিকনগর এলাকায় আইনজীবী আবদুল বাছেদ শামীমকে গুলিবিদ্ধ করার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় ব্যারিস্টার সুমনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে সিআইডি। তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর নাজমুল হকের আবেদনের শুনানি শেষে মহানগর হাকিম জি.এম. ফারহান ইশতিয়াক এ আদেশ দেন।

একই মামলায় আরও আটজনের নাম রয়েছে, যাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। সকাল ১০টার কিছু পর হাজতখানা থেকে আটজনকে আদালতে আনা হয়। তাদের মধ্যে সবার পেছনে ছিলেন ব্যারিস্টার সুমন। আদালতের সিঁড়ি বেয়ে উঠার সময় তিনি বলেন, "আমি ভালো আছি, আপনারা দোয়া করবেন।" পরে আদালতের দোতলায় নেওয়া হলে সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, "প্রতিশোধের আগুনে শুধু আমরা পুড়ছি না, দেশটাও ধ্বংস হয়ে গেছে। নতুন প্রজন্মের স্বপ্নের সঙ্গে বেঈমানি করা হয়েছে।" এরপর তাকে কাঠগড়ায় তোলা হলে আইনজীবীরা তার পাশে এগিয়ে যান। এ সময় সুমন বলেন, “কোনো অসুবিধা নেই, আমি ভালো আছি।

” সেই মুহূর্তেই উপস্থিত একজন জানায়, একাডেমির অধিনায়ক সৈকত হেলাল আদালতে এসেছে। তখন সুমন তার কাছে নিজের ফুটবল একাডেমির অবস্থা জানতে চান। উল্লেখ্য, ২০২০ সালে কোভিড মহামারীর সময় সুমন এ একাডেমি গড়ে তোলেন, যার লক্ষ্য ছিল তৃণমূল পর্যায়ের তরুণ ফুটবলারদের তুলে আনা। একাডেমিতে জাতীয় পর্যায়ের কোচদের এনে নিয়মিত প্রশিক্ষণের আয়োজনও করেছেন তিনি। পরে সকাল ১০টা ১০ মিনিটে বিচারক ফারহান ইশতিয়াক এজলাসে ওঠেন এবং শুনানির পর ব্যারিস্টার সুমনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন। আদালত থেকে বের করার সময় পুলিশ সদস্যরা সুমনকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে না দিলে তিনি বিরক্তি প্রকাশ করেন।

তখন ফুটবলার সৈকত হেলাল তাকে ‘সুমন ভাই’ বলে ডাকতে থাকেন। সুমন উত্তরে বলেন, “দেশটা পুড়িয়ে ফেলছে তারা। দেশটাকে বাঁচান। ভালো থাকেন, দেশটা ভালো থাকুক।” প্রসঙ্গত, ১৮ জুলাই বিকেলে মুগদা মানিকনগর বিশ্বরোড এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন আইনজীবী আবদুল বাছেদ শামীম। পরে তিনি ২ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনাসহ ৫১ জনকে আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলার অন্যতম আসামি ব্যারিস্টার সুমন। উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী প্রার্থী মো. মাহবুব আলীকে প্রায় এক লাখ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সুমন। জনসচেতনতা এবং দুর্নীতিবিরোধী কর্মকাণ্ড নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় সক্রিয় থাকার কারণে তিনি দেশজুড়ে আলোচিত হয়ে ওঠেন।

S

শেয়ার করুনঃ
Advertisement