উত্তাল আন্দোলনের মধ্যে গ্রেফতার আতঙ্ক নয়, হাই কমোড নিয়ে চিন্তায় ছিলেন প্রেস সচিব

উত্তাল আন্দোলনের মধ্যে গ্রেফতার আতঙ্ক নয়, হাই কমোড নিয়ে চিন্তায়  ছিলেন প্রেস সচিব

The Business Daily

Published : ০২:২৩, ২১ জুলাই ২০২৫

গেল বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি’র বাংলাদেশ ব্যুরো প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন শফিকুল আলম, যিনি বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস সচিব। সেই সময়ে আন্দোলনকারী ছাত্রদের ওপর সরকারের দমনপীড়নের খবর তিনি এএফপির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে তুলে ধরেন। এজন্য তিনি তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের নজরে ছিলেন বলে দাবি করেছেন। রোববার (২০ জুলাই) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া এক পোস্টে তিনি জানান, আন্দোলনের সময় তাকে গ্রেফতারের বিষয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সাংবাদিক সতর্ক করেছিলেন।

বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের একজন সাংবাদিক তাকে জানান, শেখ হাসিনার সরকারের একজন মন্ত্রী তার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারের অভিযোগ এনেছেন এবং তাকে গ্রেফতার করা হতে পারে। একই ধরনের সতর্কতা দিয়েছিলেন আল জাজিরার সাংবাদিক তানভীর চৌধুরীসহ আরও কয়েকজন। ফেসবুক পোস্টে শফিকুল আলম লিখেছেন, ওই সময় দেশে কারফিউ এবং ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ ছিল।

অথচ এএফপির দ্রুতগতির ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগে দেশি-বিদেশি সাংবাদিকরা প্রতিবেদন, ছবি ও ভিডিও পাঠাতে পারছিলেন। এ কারণে তিনি সরকারের রোষানলে পড়েন। তবে এসব আতঙ্কের মধ্যেও তার মনে ছিল এক ভিন্নধরনের দুশ্চিন্তা। তিনি লেখেন, “আমি গ্রেফতার হওয়ার আশঙ্কায় যতটা আতঙ্কিত ছিলাম, তার চেয়েও বেশি চিন্তিত ছিলাম কারাগারে হাই কমোড থাকবে কি না তা নিয়ে।

” এই মন্তব্য সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কেউ এটিকে পরিস্থিতির হালকা ব্যাখ্যা হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ এটিকে তৎকালীন সরকারের দমননীতি এবং সাংবাদিকদের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার দৃষ্টান্ত হিসেবে ব্যাখ্যা করছেন। শফিকুল আলমের এই পোস্ট নতুন করে আলোচনায় এনে দিয়েছে গত বছরের ছাত্র আন্দোলন, গণমাধ্যমের ভূমিকা এবং রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের বাস্তবতা।

S

শেয়ার করুনঃ
Advertisement