গাজীপুরে বিতর্কিত জাহাঙ্গীরের অন্যতম সহযোগী আ. লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী আটক

গাজীপুরে বিতর্কিত জাহাঙ্গীরের অন্যতম সহযোগী আ. লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী আটক

The Business Daily

Published : ২১:৪৩, ২০ জুলাই ২০২৫

গাজীপুর মহানগরের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়ভাবে পরিচিত এই নেতা অতীতে পূবাইল ইউনিয়ন যুবলীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য হিসেবে রাজনীতি শুরু করলেও, সময়ের সঙ্গে তার বিরুদ্ধে বিতর্ক ও অভিযোগের পাহাড় জমেছে। বিশেষ করে ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে গাজীপুর-৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী ফজলুল হক মিলনের স্ত্রী শম্পা হকের নির্বাচনী প্রচার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় মোহাম্মদ আলীর সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উঠে আসে। সে সময় তাকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সক্রিয়ভাবে মাঠে দেখা গেছে। অভিযোগের খতিয়ান  স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে মোহাম্মদ আলীর রাজনীতির বলয়ে থাকায় বিএনপি ও বিরোধীদলীয় অনেক নেতাকর্মী মামলা ও হামলার ভয়ে এলাকা ছাড়া হতে বাধ্য হয়েছেন।

এমনকি, তার বিরুদ্ধে একাধিক মানুষের জমি জবরদখল করার অভিযোগও রয়েছে। আরও জানা যায়, তিনি দীর্ঘদিন ধরে সুদি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তার কাছ থেকে ঋণ নিয়ে সুদের বোঝা বইতে না পেরে অসংখ্য পরিবার নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। সুদের টাকায় মোহাম্মদ আলী অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে দাবি স্থানীয়দের। পটপরিবর্তনের পর নতুন সখ্য  ২০২৫ সালের ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর জামায়াতে ইসলামী থেকে আওয়ামী লীগে যাওয়া একটি অংশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা গড়ে তোলেন মোহাম্মদ আলী।

অভিযোগ রয়েছে, এই গোষ্ঠী বর্তমানে তাকে রক্ষাকবচ হিসেবে রক্ষা করে চলছে এবং প্রশাসনিক তদন্ত প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করছে। তদবির ও রাজনৈতিক প্রভাব  সূত্রমতে, মোহাম্মদ আলীর মুক্তির জন্য এখন স্থানীয় যুবদল ও জামায়াতের একটি অংশ তদবিরে নেমেছে। যদিও ভুক্তভোগীরা বলছেন, "এতদিনের ফ্যাসিস্ট কর্মকাণ্ডের পর মোহাম্মদ আলী যেন আর কোনোভাবেই ছাড় না পান। আইনের আওতায় এনে তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।" চলমান তদন্ত  প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে স্থানীয়দের দাবি, মোহাম্মদ আলীর কর্মকাণ্ড নিয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগপত্র তৈরি হয়েছে এবং তা যথাযথ প্রক্রিয়ায় উচ্চমহলে জমা দেওয়া হয়েছে।  মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে ওঠা একের পর এক অভিযোগ কেবল রাজনৈতিক নয়, সামাজিকভাবেও ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। ভুক্তভোগীদের দাবি, এ ধরনের বিতর্কিত নেতাদের বিরুদ্ধে দ্রুত, নিরপেক্ষ ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি, যেন ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয় এবং রাজনৈতিক সন্ত্রাস ও অর্থনৈতিক শোষণ বন্ধ হয়।

শেয়ার করুনঃ
Advertisement