জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) সহ-সভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান বলেছেন, আন্দোলন-সংগ্রামের সময় ছাত্র, যুবক ও শ্রমিকদের সামনের সারিতে রাখার পরই জাতীয় নেতারা পুরস্কার নেন। কিন্তু নির্বাচন আসলে কিছু নেতা নিজের স্বার্থে ‘মাথা বিক্রির’ বাজার বসায়।
তিনি উল্লেখ করেন, ফেব্রুয়ারীর নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে নেতারা ক্ষমতার রাজনীতি চালাচ্ছে, অন্যদিকে হিন্দুস্তান ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। রাশেদ প্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলকে চিরতরে নিষিদ্ধ করা উচিত। তিনি তরুণদের সচেতন থাকার আহ্বান জানান এবং বলেন, ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য ছাত্র ও যুবকরা সামনে আসবেন।
শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে যুব জাগপা’র ৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব মন্তব্য করেন। তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতের বাংলাদেশে কেউ ফ্যাসিবাদ সৃষ্টি করতে চাইলে বা দিল্লির কাছে মাথা বিক্রি করলে তাকে রুখে দেওয়া হবে, ঠিক যেমন ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পথ প্রতিহত করা হয়েছে।
রাশেদ প্রধান অভিযোগ করেন, দিল্লিতে বাংলাদেশবিরোধী কনফারেন্স চলছে, আওয়ামী লীগ দেশে ঝটিকা মিছিল করছে, ভিপি নুরের ওপর হামলা হয়েছে এবং জাতীয় পার্টির কাঁধে হিন্দুস্তান ও আওয়ামী লীগের প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের নিন্দা ও প্রতিবাদের জন্য নতুন মন্ত্রণালয় খোলার কথাও উল্লেখ করেন।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন যুব জাগপা সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জি মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, জাগপা প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুর রহমান খান, হাজী মো. হাসমত উল্লাহ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহিদুর রহমান বাবলা, আরিফ হোসেন ফিরোজ, ঢাকা মহানগর জাগপা আহবায়ক শ্যামল চন্দ্র সরকার, সদস্য সচিব আশরাফুল ইসলাম হাসু, শ্রমিক জাগপা সভাপতি আসাদুজ্জামান বাবুল, সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন, জাগপা ছাত্রলীগ সভাপতি আবদুর রহমান ফারুকী, এবি যুব পার্টি সভাপতি শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, জাতীয় যুব সংহতি (পার্থ) সভাপতি হারুন অর রশিদ, যুব অধিকার পরিষদ সভাপতি মঞ্জুর মোরশেদ মামুন, যুব শক্তি (এনসিপি) যুগ্ম সদস্য সচিব মো. ইনজামুল হক, ইসলামি যুব আন্দোলন জয়েন্ট সেক্রেটারি মুফতি রহমতুল্লাহ বিন হাবিব, ইসলামি যুব সমাজ সভাপতি মাসুদ খান এবং যুব অধিকার পার্টি (পিআরপি) নজরুল ইসলাম সজিবসহ অন্যান্য নেতারা।
