যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে সিলেটে পৌঁছেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সিলেটে যাত্রাবিরতি শেষে তিনি বর্তমানে ঢাকার দিকে অগ্রসর হচ্ছেন। দুপুর পৌনে ১২টায় তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন।
এর আগে, তারেক রহমান বহনকারী উড়োজাহাজটি সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করে।
তারেক রহমানের ২৫ ডিসেম্বরকে প্রত্যাবর্তনের জন্য বেছে নেওয়ার মূল কারণ ছিল জনদূর্ভোগ কমানো এবং সাধারণ মানুষের সুবিধাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া। বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ও স্বদেশ প্রত্যাবর্তন কমিটির সদস্য অধ্যাপক মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল বলেন, এই নির্দিষ্ট তারিখটি বেছে নেওয়ার যুক্তিগুলো হলো— ২৫ ডিসেম্বর সরকারি ছুটি, তার পরবর্তী শুক্রবার ও শনিবার মিলিয়ে টানা তিন দিনের ছুটি থাকায় সাধারণ কর্মদিবসের তুলনায় রাস্তায় চাপ কম থাকবে।
তিনি আরও জানান, এই সময়ে দেশের বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হয়ে যায় এবং মানুষ অবসরের মেজাজে থাকে। ফলে বড় জমায়েত হলেও শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা বা সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন কর্মব্যস্ততায় বড় কোনো বিঘ্ন সৃষ্টি হয় না।
পাভেল উল্লেখ করেন, প্রথাগতভাবে বড় সমাবেশগুলো ঢাকার কেন্দ্রীয় এলাকায় করা হয়, যার ফলে শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থবির হয়ে যায়। কিন্তু এবার জনস্বার্থ বিবেচনায় সংবর্ধনার স্থান শহরের একপাশে নির্ধারণ করা হয়েছে, যাতে মূল শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা স্বাভাবিক থাকে।
মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন রাখতে মহাখালী, আব্দুল্লাহপুর এবং বিমানবন্দর এলাকায় হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে। এসব হেল্প ডেস্ক থেকে স্বেচ্ছাসেবকরা বিদেশগামী যাত্রী এবং বিশেষ করে অ্যাম্বুলেন্সে থাকা রোগীদের গন্তব্যে পৌঁছাতে সহায়তা করবেন।
অধ্যাপক পাভেল বলেন, তারেক রহমান সাধারণ মানুষের জন্য এমন কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাননি যা জনজীবনে অসুবিধা সৃষ্টি করে। এই কারণে একটি সময় ও পরিকল্পনা বেছে নেওয়া হয়েছে যা জনজীবনকে স্থবির না করে উৎসবমুখর পরিবেশে কর্মসূচি সম্পন্ন করতে সহায়তা করবে।
বিষয়টিকে একটি বড় পারিবারিক অনুষ্ঠানের সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে— যেমন কেউ যদি বাড়ির অনুষ্ঠান আয়োজন করে যাতে পাড়া-প্রতিবেশীদের যাতায়াত বাধাপ্রাপ্ত না হয় এবং ছুটির দিন বেছে নেয়, ঠিক একইভাবে এখানে জনবান্ধব চিন্তাধারা কাজ করেছে।
এদিকে, প্রিয় নেতাকে এক নজর দেখার জন্য এবং ঐতিহাসিক এই মুহূর্তের সাক্ষী হতে বুধবার রাত থেকেই পূর্বাচল ৩০০ ফিট হাইওয়ে এলাকায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা জমায়েত হতে শুরু করেছেন। উৎসবমুখর পরিবেশে সমবেতরা একসাথে ধ্বনিত করছেন— ‘লিডার আসছে’।



























