যশোর-৬: শেষ মুহূর্তে ধানের শীষের টিকিট হারালেন শ্রাবণ

যশোর-৬: শেষ মুহূর্তে ধানের শীষের টিকিট হারালেন শ্রাবণ ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ০১:৩০, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫

যশোর-৬ (কেশবপুর) সংসদীয় আসনে বিএনপির চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় পরিবর্তন এসেছে। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ শেষ পর্যন্ত দলীয় মনোনয়ন পাননি।

ওই আসনে বিএনপির মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে দলের কেন্দ্রীয় সদস্য ও কেশবপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেন আজাদকে।

বুধবার রাতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে আবুল হোসেন আজাদের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়নপত্র তুলে দেওয়া হয়। মনোনয়ন টিকেটে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের স্বাক্ষর রয়েছে।

এর আগে এই আসনে প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছিলেন কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ। প্রাথমিক মনোনয়ন ঘোষণার পর প্রায় দেড় মাস ধরে তিনি এলাকায় সক্রিয়ভাবে গণসংযোগ ও প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন। তবে শেষ মুহূর্তে দলীয় সিদ্ধান্তে পরিবর্তন এনে শ্রাবণের পরিবর্তে আবুল হোসেন আজাদকে চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

মনোনয়ন পরিবর্তনের খবরে শ্রাবণের সমর্থকদের মধ্যে হতাশা তৈরি হলেও আবুল হোসেন আজাদের অনুসারীদের মাঝে দেখা গেছে আনন্দ ও উদ্দীপনা। এদিকে কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে দলের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ার কথা জানান এবং ধানের শীষের পক্ষে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

দলীয় সূত্র জানায়, আবুল হোসেন আজাদ দীর্ঘ দুই দশকের বেশি সময় ধরে কেশবপুরে বিএনপির দুঃসময়ে একজন পরীক্ষিত সংগঠক হিসেবে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছেন। রাজনৈতিক দমন-পীড়ন, হামলা ও মামলার কঠিন সময়ে তিনি নেতাকর্মীদের পাশে থেকে তাদের জন্য নিরাপদ আশ্রয় ও সাহসের প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন।

স্থানীয় নেতাকর্মীদের মতে, কেশবপুরে বিএনপির সাংগঠনিক ভিত্তি মজবুত করতে আবুল হোসেন আজাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ত্যাগ, শ্রম ও সাংগঠনিক দক্ষতার মাধ্যমে তিনি দলকে শক্ত অবস্থানে দাঁড় করিয়েছেন। আন্দোলন-সংগ্রামে সৎ, নিষ্ঠাবান ও রাজপথে পরীক্ষিত এই নেতা কখনোই পিছপা হননি।

রাজনীতির পাশাপাশি সামাজিক কর্মকাণ্ডেও আবুল হোসেন আজাদ উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। নিজস্ব অর্থায়নে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ ও দলীয় কার্যালয় স্থাপন করেছেন তিনি। পাশাপাশি নিজ জমিতে বিনামূল্যে দোকানঘর বরাদ্দ দিয়ে বহু অসহায় পরিবারের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছেন। তার এসব মানবিক উদ্যোগ কেশবপুরবাসীর মধ্যে ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেছে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৩ নভেম্বর প্রাথমিক মনোনয়ন না পেলেও শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত সেই আশাই বাস্তবে রূপ নিল।

বিডি/এএন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement