‘জাভি’ সেজে বোকা বানিয়েছেন সবাইকে, স্বীকারোক্তি ভারতীয় তরুণের

Published : ১৬:১৬, ২৭ জুলাই ২০২৫
‘ভারতের কোচ হতে চান জাভি’ – এমন এক চাঞ্চল্যকর খবর প্রকাশ পেয়েছিল গেল শুক্রবার। বিষয়টা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা কম হয়নি। সে বিষয়টা যে ভুয়া, তা সম্প্রতি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন (এআইএফএফ)। এবার এক ভারতীয় তরুণ স্বীকার করলেন, জাভি সেজে তিনিই বোকা বানিয়েছেন সবাইকে।
সবকিছুর শুরু একটা ইনস্টাগ্রাম পোস্ট দিয়ে। ৪ জুলাই এআইএফএফ লিখেছিল, ‘ভারতের পুরুষদের সিনিয়র জাতীয় দলের জন্য কোচ খুঁজছি আমরা।’
এরপরই আসে চমকে যাওয়ার মতো খবর। ভারতের জাতীয় দলের ডিরেক্টর ও সাবেক গোলকিপার সুব্রত পাল জানান, কোচ হতে আবেদন করেছেন সাবেক বার্সেলোনা কোচ জাভি এর্নান্দেজ! সুব্রত বলেন, ‘জাভির নাম ছিল, এটা ঠিক। আবেদনপত্র এআইএফএফ-এ ই-মেইলে এসেছিল।’
তবে সেই একই প্রতিবেদনে জানানো হয়, টেকনিক্যাল কমিটি আর্থিক খরচ বেশি হওয়ায় জাভিকে চূড়ান্ত তালিকায় রাখেনি। বিষয়টি নিয়ে বিশ্বজুড়ে ফুটবল ভক্তদের মধ্যে হৈচৈ পড়ে যায়।
জনপ্রিয় ইতালিয়ান ক্রীড়া সাংবাদিক ফাব্রিজিও রোমানোও খবর প্রকাশ করেছিলেন। যার ফলে বিষয়টা চলে আসে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমেও। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয় মিমের বন্যা।
এরপর জানা যায় শুধু জাভি নয়, পেপ গার্দিওলার নামেও নাকি একটা আবেদন জমা পড়েছে। এআইএফএফ ধোঁকাটা ধরতে পারে এরপর। তারা এক বিবৃতিতে জানায়, ‘স্প্যানিশ কোচ পেপ গার্দিওলা ও জাভি হার্নান্দেজের পক্ষ থেকে পাঠানো আবেদনপত্র ইমেইলে পাওয়া গিয়েছিল। তবে সেই আবেদনপত্রের সত্যতা যাচাই করা যায়নি। পরে নিশ্চিত হওয়া গেছে, এই আবেদনগুলো আসল ছিল না।’
এরপরই বিষয়টা কারিগরের খবর ফাঁস করে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া। যদিও তার পরিচয় প্রকাশ করেনি সংবাদ মাধ্যমটি। ভেলোরের ভিআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ বছর বয়সী এক ছাত্র দাবি করেন, ‘এআইএফএফ-কে ওই মেইল আমি পাঠিয়েছি। এটা ছিল একটা প্র্যাঙ্ক।’
তিনি জানান, ‘আমি [email protected] নামে একটা ভুয়া মেইল আইডি বানাই। এরপর চ্যাটজিপিটিকে বলি— “ভারতীয় ফুটবল দলের কোচ হতে আগ্রহ জানিয়ে জাভি হার্নান্দেজের পক্ষ থেকে একটা মেইল লেখো।” তারপর সেই লেখা কপি-পেস্ট করে ৪ ও ৫ জুলাই দুইবার এআইএফএফ-কে পাঠাই। আমি কোনো সিভি দিইনি। কিন্তু মনে হচ্ছে ওরা মেইলটা পড়েছে।’ তিনি তার পাঠানো মেইলের স্ক্রিনশটও প্রকাশ করেন। তবে ওই শিক্ষার্থী জানান, ‘পেপ গার্দিওলার নামে আমি কোনো মেইল পাঠাইনি।’
এই ঘটনার পর ভারতের ভাবমূর্তি পড়ে গেছে প্রশ্নের মুখে। দেশ বিদেশে ব্যাপক ট্রলের শিকার হচ্ছে সংস্থাটি।