সকাল থেকে ঢাকায় দফায় দফায় বৃষ্টি, জনজীবনে দুর্ভোগ

রাজধানীতে আজ সকাল থেকেই থেমে থেমে কয়েক দফা মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন অফিসগামী মানুষ, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও পথচারীরা। এদিকে পরিবহন সংকট, জলাবদ্ধতা, যানজট আর কাদায় ভরা সড়ক ঢাকার চিরচেনা চিত্রকে আরও জটিল ও ভোগান্তির করে তুলেছে।

বুধবার (১৮ জুন) সকাল ৬টা থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয় বৃষ্টি। 

আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, দুপুর পর্যন্ত দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১২-২০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। পাশাপাশি বজ্রসহ মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভোর থেকেই রাজধানীর উত্তরা, মিরপুর, ধানমন্ডি, বাড্ডা, যাত্রাবাড়ী, শ্যামলী, কারওয়ান বাজার, সদরঘাটসহ বিভিন্ন এলাকায় কমবেশি বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে অনেক রাস্তায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।

বাসস্ট্যান্ডগুলোতে দেখা গেছে, ছাতা হাতে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষ, কোথাও কোথাও বাসে ওঠার জন্য ভেজা কাপড়ে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে লোকজনকে।

ট্রাফিক পুলিশ সূত্র জানায়, পানি জমে থাকায় রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে যান চলাচলে ধীরগতি লক্ষ্য করা গেছে। অফিস সময়ে বৃষ্টির কারণে বাস-সিএনজির সংকট ছিল ব্যাপক। অনেকেই উপায় না পেয়ে হেঁটেই গন্তব্যের দিকে রওনা হন।

বিমানবন্দর বাসস্ট্যান্ডে বাসের জন্য অপেক্ষমান এক যাত্রী জানান, বাসের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। কিন্তু বাসের তুলনায় যাত্রীর সংখ্যা বেশি। সব বাসই যাত্রী বোঝাই হয়ে আসছে। ফলে বাসস্ট্যান্ডে বেশি বাস থামছে না। সিএনজিও পাওয়া যাচ্ছে না।

রাশেদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি বলেন, সকালের অবস্থা আরও খারাপ ছিলো। ৮টার অফিস ধরতে বের হয়েছিলাম সাড়ে ৭টায়। বাস তো দূরের কথা, রিকশাও পাওয়া যাচ্ছিল না। রাস্তার একপাশে হাঁটছি, অন্যপাশে পানি জমে আছে। সাধারণ মানুষদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। 

এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী বলেন, ক্লাস ছিল সকাল সাড়ে ১০টায়। বের হতে না হতেই দেখি, রাস্তায় হাঁটারও উপায় নেই। বাসের জন্য দাঁড়িয়েছিলাম আধাঘণ্টা, কোনো বাস থামছে না। পরে ভিজেই হেঁটে মেট্রো রেলস্টেশনে যেতে হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় আগামী শুক্রবার পর্যন্ত চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা, রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন স্থানে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।

এছাড়া পাহাড়ি এলাকা যেমন চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও কক্সবাজারে ভূমিধসের আশঙ্কাও করা হয়েছে। একই সঙ্গে ভারী বর্ষণের কারণে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীর কোথাও কোথাও অস্থায়ী জলাবদ্ধতা তৈরি হতে পারে বলেও সতর্ক করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।