মাদরাসায় ৩ দিন আটকে রেখে ছাত্রীকে ধর্ষণ শিক্ষকের, অতঃপর...

Published : ১৭:২১, ২০ আগস্ট ২০২৫
নোয়াখালীর হাতিয়ার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নে টানা তিন দিন আটকে রেখে এক মাদরাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় মাদরাসার শিক্ষক শাহেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। পরে বিষয়টি বিয়েতে গড়ায় গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) রাতে ইউনিয়নের নামার বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত শাহেদুল ইসলাম ওই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবুল কালামের ছেলে। তিনি নামার বাজার মহিলা মাদরাসার শিক্ষক, স্থানীয় এক মসজিদের মুয়াজ্জিন এবং একসময় ইসলামি যুব আন্দোলনের ইউনিয়ন কমিটির সদস্য ছিলেন।
ভুক্তভোগী ছাত্রী অভিযোগ করেন, হুজুর তাকে মসজিদের পাশে নিজ কক্ষে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন। পরে বাড়িতে ফিরে পরিবারের কাছে বিষয়টি জানান। পরিবার অসহায় হওয়ায় স্থানীয় সালিশে বিয়ের সিদ্ধান্ত হয়।
স্বেচ্ছাসেবক দলের স্থানীয় সভাপতি আমিরুল ইসলাম বাবলু জানান, শিক্ষক দায় স্বীকার করেন এবং বিয়েতে সম্মত হন। ভুক্তভোগীর পরিবারও রাজি হওয়ায় সামাজিকভাবে ছয় লাখ টাকা কাবিনে মসজিদে বিয়ে সম্পন্ন হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তিন দিন নিখোঁজ থাকার পর ছাত্রী বাড়ি ফিরে পুরো ঘটনা জানায়। এরপর গ্রাম্য গণ্যমান্যরা শিক্ষককে আটক করে সালিশ বসান। তিনি অপরাধ স্বীকার করলে বিয়ে সম্পন্ন করা হয়।
স্থানীয় বিএনপি নেতা মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, “মেয়েটির পরিবার অসহায়। ঘটনাটি লজ্জাজনক হলেও ছয় লাখ টাকা কাবিনে উভয়পক্ষের সম্মতিতে বিয়ে হয়েছে।”
এদিকে ইসলামি যুব আন্দোলনের ইউনিয়ন সহসভাপতি শাহেদ উদ্দিন জানান, শাহেদুল ইসলাম তিন বছর আগে সংগঠনের সদস্য ছিলেন। পরবর্তীতে নিষ্ক্রিয় থাকায় তাকে বাদ দেওয়া হয়। তিনি বলেন, “তার কাজ অনৈতিক। আমরা তার পক্ষে ছিলাম না। তবে স্থানীয়রা যেভাবে সমাধান করেছেন, সেটাতেই শেষ হয়েছে।”
নিঝুমদ্বীপ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সুমন বলেন, “আমাদের কাছে এখনো কোনো লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
Source: Rtv Online
BD/AN