প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে সহকর্মীর ভিডিও ভাইরাল, অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ

নোয়াখালীতে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও এক সহকারী শিক্ষিকার আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয় সচেতন অভিভাবকদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ভিডিও ফাঁসের পর প্রধান শিক্ষকের দাবি, ওই সহকারী শিক্ষিকা তার দ্বিতীয় স্ত্রী। তবে এর কোনো প্রমাণ তিনি উপস্থাপন করতে পারেননি।

সোমবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে অভিভাবকদের আপত্তির কারণে গুল্যাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা জাকিয়া বেগম মৌখিকভাবে সংশ্লিষ্ট শিক্ষিকাকে বিদ্যালয়ে আসা থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেন। এর আগে, রোববার রাতে প্রায় ৪ মিনিট ৫০ সেকেন্ডের ওই ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, শিক্ষক সমাজ মানুষ গড়ার মহৎ দায়িত্ব পালন করে। অথচ এ ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে ভিডিও ধারণ ও তা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া শিক্ষকতার মর্যাদাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। এতে তারা আর শিক্ষকতার মতো মহান পেশায় থাকার যোগ্য নন বলেও মনে করেন অভিভাবকরা।

অভিযোগের বিষয়ে পূর্ব ভাটিরটেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান দুলাল জানান, ভিডিওতে থাকা সহকারী শিক্ষিকা আসলেই তার দ্বিতীয় স্ত্রী এবং বিষয়টি তার প্রথম স্ত্রীও জানেন। তিনি আরও দাবি করেন, ২০২১ সালের ২৩ এপ্রিল হাতিয়ার সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর সমর্থকরা তার ওপর হামলা চালিয়ে মোবাইল, ল্যাপটপ ও মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নেয় এবং সেই সময় ভিডিওটি তাদের হাতে যায়। পরে একটি চক্র তাকে ব্ল্যাকমেল করে টাকা দাবি করে আসছিল, এ বিষয়ে থানায় তিনি একটি সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেছেন। তবে এ বিষয়ে শিক্ষিকা গুলশান আরা বেগমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

প্রধান শিক্ষিকা জাকিয়া বেগম বলেন, ভিডিওটি পুরোনো এবং এটি ব্যক্তিগত বিষয় হলেও অভিভাবকদের অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার সকালেই বিষয়টি তাকে জানানো হয়। পরবর্তীতে মঙ্গলবার দুপুরে বিষয়টি জানালে তিনি বিদ্যালয় ত্যাগ করেন।

হাতিয়া উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, ভিডিও ফাঁসের ব্যাপারে তিনি অবগত হয়েছেন। লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নোয়াখালী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ইসরাত নাসিমা হাবীব বলেন, বিষয়টি ইতোমধ্যে তার নজরে এসেছে। বুধবার অফিসে গিয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Source: Rtv Online