চবি ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী-বাসিন্দা সংঘর্ষ: ১০ আহত, ইটপাটকেল বর্ষণ

Published : ১৪:৪৯, ৩১ আগস্ট ২০২৫
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আবারও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। দেড় ঘণ্টা ধরে মুখোমুখি অবস্থানের পর আজ রোববার দুপুর ১২টা ৫ মিনিটের দিকে ক্যাম্পাসের ২ নম্বর গেট সংলগ্ন জোবরা গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিনসহ অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
ঘটনাস্থলে দেখা যায়, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এক প্রান্তে কয়েকশ শিক্ষার্থী অবস্থান নেন, আর বিপরীত দিকে ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দুই পক্ষই একে অপরের দিকে পাল্টাপাল্টি স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় সহ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন, প্রক্টর তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফসহ অন্যান্য শিক্ষকরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। কিন্তু একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে অন্তত ১০ জনকে রক্তাক্ত অবস্থায় ক্যাম্পাসের দিকে নিয়ে যেতে দেখা গেছে। ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো উপস্থিতি ছিল না।
শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দিচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আজ দুপুরে তোলা ছবি: জুয়েল শীল
এর আগে গতকাল রাত সোয়া ১২টা থেকে আজ ভোর ৪টা পর্যন্ত বিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে মারধরের ঘটনায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সংঘর্ষে অন্তত ৭০ শিক্ষার্থী আহত হন। রাত সাড়ে তিনটার দিকে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের পরীক্ষা এই ঘটনায় স্থগিত করা হয়েছে। সংঘর্ষের আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আহত হয়েছেন, এবং স্থানীয় সন্ত্রাসীরা প্রক্টর ও পুলিশের তিনটি যানবাহন ভেঙেছে। তিনি জানান, এই বিষয়ে অবশ্যই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেটের কাছে এক ছাত্রী একটি ভবনে ভাড়া থাকেন। গতকাল দিবাগত রাত ১২টার দিকে তিনি ওই ভবনে প্রবেশের চেষ্টা করলে দারোয়ানের সঙ্গে তর্ক হয় এবং তাকে মারধর করা হয়। এরপর শিক্ষার্থীরা দারোয়ানকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে তিনি পালানোর চেষ্টা করেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে গেলে স্থানীয় বাসিন্দারা শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন। পরে তারা মাইকে ঘোষণা দিয়ে আরও মানুষকে ডেকে নিয়ে আসে। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করছেন, তুচ্ছ ঘটনার কারণে শিক্ষার্থীরা হামলা শুরু করেছেন এবং ঘরবাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।
BD/AN