বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুর মামলায় আইনজীবীরা কারাগারে

Published : ১৫:৪৮, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বরগুনা জেলা বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ মামলায় আদালত আজ ১২ জন আওয়ামীপন্থী আইনজীবীকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন। মঙ্গলবার বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ মো. সাইফুল রহমান হাজির আসামিদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কারাগারে প্রেরিত আইনজীবীদের মধ্যে রয়েছেন বরগুনা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মাহবুবুল বারী আসলাম, অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান, বুড়িরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির, অ্যাডভোকেট মো. নুরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের নেতা ও দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার অ্যাডভোকেট মজিবুল হক কিসলু, অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির পল্টু, যুবলীগ নেতা অ্যাডভোকেট জুনায়েদ হোসেন জুয়েল, অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল মামুন, অ্যাডভোকেট ইমরান হোসাইন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাইমুল ইসলাম রাব্বি, অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান জুয়েল এবং অ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলাম মিলন।
মামলার সূত্রে জানা যায়, বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম নজরুল ইসলামের ছেলে এসএম নঈমুল ইসলাম ২০২৫ সালের ৩০ এপ্রিল বরগুনা থানায় এই মামলা দায়ের করেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৩ সালের ১৭ মার্চ বেলা ১১টার দিকে বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর কবীর, সাবেক এমপি গোলাম সরোয়ার টুকু ও শওকত হাসানুর রহমান রিমনের নেতৃত্বে ১৫৮ জন আওয়ামী লীগ নেতা ও কর্মী বিএনপির বরগুনা জেলা কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটান। এতে প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী প্রায় ৯ লাখ ৪৫ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।
মামলার পর ১২ জন আসামি চলতি বছরের ২ জুলাই হাইকোর্ট থেকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন পান এবং ২১ জুলাই বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিননামা দাখিল করেন। তবে জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ২৪ জুলাই তারা পুনরায় জামিনের আবেদন করলে আদালত শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন। মঙ্গলবার শুনানির পর আদালত আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট নুরুল আমীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুল মোতালেব মিয়া ও অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান জানান, আসামিরা নিয়মিত আদালতে কর্মরত আইনজীবী, পলাতক হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এছাড়া মামলাটি দুই বছর আগের একটি রাজনৈতিক ঘটনা সংক্রান্ত এবং অনেক আসামি আওয়ামী লীগের সদস্য নন।
BD/AN