চবি ক্যাম্পাসে উত্তেজনা, শিক্ষার্থী-স্থানীয়দের সংঘর্ষে ২০ জন আহত

চবি ক্যাম্পাসে উত্তেজনা, শিক্ষার্থী-স্থানীয়দের সংঘর্ষে ২০ জন আহত স্থানীয়দের হামলায় আহত হন আহত চবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন। ছবি: মো. রাশেদ

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ১৭:২৬, ৩১ আগস্ট ২০২৫

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আবারও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। রোববার দুপুর ১২টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট সংলগ্ন জোবরা গ্রামে সংঘর্ষ শুরু হয়। এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিনসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

সকালে থেকেই দুইপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এক প্রান্তে কয়েকশ শিক্ষার্থী এবং বিপরীত প্রান্তে স্থানীয়রা অবস্থান নেন। উভয় পক্ষ পাল্টাপাল্টি স্লোগান দিতে থাকে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন ও প্রক্টর তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ দুই পক্ষকে শান্ত করতে চেষ্টা করেন, কিন্তু তারা ব্যর্থ হন। কিছুক্ষণ পরই পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। এতে অন্তত ১০ শিক্ষার্থী রক্তাক্ত অবস্থায় ক্যাম্পাসের ভেতরে নেওয়া হয়। এছাড়া সহ-উপাচার্যসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন।

একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, স্থানীয় বাসিন্দারা রামদা হাতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালাচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের হাতেও হকিস্টিক দেখা গেছে। তবে ঘটনার সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উপস্থিত ছিলেন না। রাতে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। স্থানীয় সন্ত্রাসীরা প্রক্টর ও পুলিশের তিনটি যানবাহন ভেঙেছে। এ বিষয়ে অবশ্যই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, সংঘর্ষের সূত্রপাত একটি ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেটের কাছে থাকা এক ছাত্রী তার ভবনে প্রবেশের সময় দারোয়ানের সঙ্গে কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটে। দারোয়ান তাঁকে মারধর করলে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করতে গিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে দেয়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা মাইকে ডাক দিয়ে আরও লোক জড়ো করে শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে।

এলাকাবাসীর দাবি, শিক্ষার্থীরা তুচ্ছ ঘটনায় হামলা চালিয়েছেন। ঘটনার সময় কিছু ঘরবাড়ি ভাঙচুরের শিকার হয়।

উল্লেখ্য, গতকাল রাত সোয়া ১২টা থেকে আজ ভোর ৪টা পর্যন্ত ২ নম্বর গেটে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষ চলেছে। রাত সাড়ে তিনটায় সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ভুক্তভোগী ছাত্রী জানান, “আমি নিয়মমতো বাসায় ফিরছিলাম। দেরি হয়নি। তবে দারোয়ান দরজা খুলতে রাজি হননি। জোরে ডাক দিলে তিনি অকথ্য ভাষায় কথা বললেন। আমি জবাব দিতে গেলে তিনি আমার গলায় চড় মারেন। রুমমেট ও স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে বিষয়টি আরও উত্তপ্ত হয়।”

BD/AN

শেয়ার করুনঃ
Advertisement