“দুই মাসের মধ্যে ভারত ক্ষমা চাইবে” কঠিন ভবিষ্যদ্বাণী লুটনিকের

Published : ১০:৪১, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সাম্প্রতিক সময়ে শুল্ক আরোপের হুমকির মুখেও যুক্তরাষ্ট্রের শর্ত মেনে নিচ্ছে না ভারত। বরং চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে মোদি সরকারের সম্পর্ক এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। আর এতেই যেন ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার প্রশাসন।
মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক দিয়েছেন কঠিন এক ভবিষ্যদ্বাণী। তিনি দাবি করেছেন, রাশিয়ার কাছ থেকে জ্বালানি কেনা বন্ধ করে আগামী এক–দুই মাসের মধ্যেই ভারতকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
লুটনিক মার্কিন সংবাদমাধ্যমটিকে বলেন, “আমার মনে হচ্ছে এক বা দুই মাসের মধ্যে ভারত আলোচনার টেবিলে বসবে এবং বলবে—আমরা ক্ষমা চাই। এরপর তারা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে নতুন চুক্তি করারও চেষ্টা করবে।”
এরপরই ভারতকে সতর্ক করে তিনি বলেন, “যদি ভারত যুক্তরাষ্ট্রকে সমর্থন না করে, তবে তাদের পণ্য রপ্তানিতে ৫০ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে।”
এর আগে গত শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট দেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি লিখেন, “মনে হচ্ছে আমরা ভারতের সঙ্গে রাশিয়াকে চীনের হাতে হারিয়েছি। আমি তিন দেশেরই সাফল্য কামনা করছি।”
ট্রাম্পের এই পোস্টের পরই ভারতকে নিয়ে আরও তীর্যক মন্তব্য করেন বাণিজ্যমন্ত্রী লুটনিক। তার ভাষায়, “ভারতের আচরণ কেবল আস্ফালন ছাড়া আর কিছু নয়। বড় গ্রাহকের সঙ্গে লড়াই করা তাদের কাছে ভালো লাগতে পারে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিজেদের ব্যবসার স্বার্থেই তারা আমেরিকার সঙ্গে চুক্তি করতে বাধ্য হবে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “ভারত বাজার খুলতে চাইবে না, রাশিয়ার তেল কেনাও বন্ধ করবে না, আবার ব্রিকস থেকেও সরে যাবে না। যদি তারা সত্যিই রাশিয়া–চীনের সঙ্গে জোট বাঁধতে চায়, তাই করুক। কিন্তু তা যদি সম্ভব না হয়, তবে ডলারকে সমর্থন করতে হবে, যুক্তরাষ্ট্রকে সমর্থন করতে হবে, নিজেদের সবচেয়ে বড় ক্রেতাকে সমর্থন করতে হবে। নয়তো ৫০ শতাংশ শুল্কের জন্য প্রস্তুত থাকুক। তারপর দেখা যাক, এই লড়াই কতদিন টেকে।”
BD/AN