খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় সৃষ্টি হওয়া উত্তেজনা ও বিক্ষোভের প্রভাবে জেলার পরিস্থিতি এখন থমথমে অবস্থায় রয়েছে। কয়েকদিন ধরে অবরোধ, মিছিল ও সমাবেশের পর সর্বশেষ সহিংসতার কারণে জেলা জুড়ে শান্তি নেমে এসেছে। শনিবার সকাল ৬টা থেকে ছাত্র ও সাধারণ জনগণ ধর্ষণের প্রতিবাদে ও ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে অবরোধ শুরু করেন।
অবরোধের কারণে সকাল থেকেই ঢাকা-চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়ক ও আন্তঃজেলা সড়কে যানবাহন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। অবরোধকারীরা খাগড়াছড়ি-ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়কের বলপিয়া আদাম এলাকার বিভিন্ন সড়কে গাছ ফেলে ও টায়ার জ্বালিয়ে দিয়ে যান চলাচল ব্যাহত করেন।
পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় খাগড়াছড়ি পৌরসভা এবং সদর উপজেলায় জেলা প্রশাসন অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার জানিয়েছেন, শনিবার দুপুর ২টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই আদেশ কার্যকর থাকবে।
গুইমারা উপজেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আইরিন আকতার জানিয়েছেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা ১৮১৮ মোতাবেক ১৪৪ ধারা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য ৭টি প্লাটুন বিজিবির পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ এবং এপিবিএনও দায়িত্ব পালন করছে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার খাগড়াছড়ির সিঙ্গিনালা এলাকায় প্রাইভেট পড়ুয়া বাড়ি ফেরার পথে সংঘবদ্ধ দুর্বৃত্তরা ৮ম শ্রেণির এক মারমা ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। পরিবারের খোঁজাখুঁজির পর তাকে একটি পরিত্যক্ত স্থানে থেকে উদ্ধার করা হয়। ভিকটিমের বাবা অজ্ঞাত তিনজনকে আসামি করে খাগড়াছড়ি সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন শয়ন শীল (১৯) কে আটক করা হয়েছে এবং তাকে ৬ দিনের পুলিশ রিমান্ড দেওয়া হয়েছে।