সাংবাদিক তুহিন হত্যা মামলার আরেক আসামি কিশোরগঞ্জে গ্রেপ্তার

Published : ২০:২১, ৯ আগস্ট ২০২৫
সাংবাদিক তুহিন হত্যা মামলার অনুসন্ধানে কিশোরগঞ্জ থেকে মামলার অন্যতম প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দীর্ঘদিন পলাতক থাকা এই আসামি হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। গ্রেপ্তারের মাধ্যমে মামলার তদন্তে নতুন তথ্য উদ্ধার হতে পারে এবং অপর আসামিদের সনাক্তকরণে সহায়তা পাওয়া যাবে বলে জানানো হয়েছে। পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত ও সুষ্ঠু বিচারের লক্ষ্যে তদন্ত কার্যক্রম জোরদার করেছে। সাংবাদিক তুহিন হত্যা মামলার তদন্তে গত কয়েক মাসে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি ঘটিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরই ধারাবাহিকতায় কিশোরগঞ্জ জেলার একটি স্থান থেকে মামলার অন্যতম প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযানে অংশ নেয় পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগের একটি বিশেষ টিম।
গ্রেপ্তারকৃত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে তিনি পরিকল্পনাকারী এবং হত্যাকাণ্ডের সময় সরাসরি জড়িত ছিলেন। দীর্ঘদিন পলাতক থাকা এই আসামি বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে ছিলেন এবং ঘটনার পর থেকে নিজেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টির বাইরে রাখার চেষ্টা করছিলেন। তদন্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গ্রেপ্তারের মাধ্যমে আসামির কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নে সহযোগী অন্যান্য সদস্যদের সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া সম্ভব হবে। এছাড়াও মামলার অন্যান্য পলাতক আসামিদের সনাক্তকরণ ও গ্রেপ্তারে সহায়তা আশা করা হচ্ছে।
সাংবাদিক তুহিন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ব্যাপক নিন্দা ও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে দেশের গণমাধ্যম ও জনসাধারণের মধ্যে। দ্রুত ও সুষ্ঠু বিচার দাবিতে নানা সংগঠন প্রতিনিয়ত চাপ প্রয়োগ করে আসছে। সরকারও মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারে উচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তারকৃত আসামি আদালতের নির্দেশে রিমান্ডে নিয়ে তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উন্মোচন করা হবে। এর পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডের পেছনের অন্য সংশ্লিষ্টদের ধরার চেষ্টা জোরদার করা হবে।
তুহিন হত্যাকাণ্ডের বিচারে এই গ্রেপ্তার গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে এবং আশা করা হচ্ছে, দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া এগিয়ে যাবে। সাধারণ জনগণ ও সাংবাদিক সম্প্রদায় এই ঘটনায় ন্যায়বিচারের প্রত্যাশায় রয়েছে। এ পর্যন্ত তদন্ত ও গ্রেপ্তারের মাধ্যমে সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বিচার প্রক্রিয়া গতিশীল হচ্ছে, যা দেশের আইনের শাসন ও গণমাধ্যম স্বাধীনতার জন্য ইতিবাচক সংকেত বলে মনে করা হচ্ছে।