মৌলভীবাজার কমলগঞ্জে সাবেক ছাত্রদল নেতাকে নির্মমভাবে গলা কেটে হত্যা, রহিমপুর থেকে মরদেহ উদ্ধার

মৌলভীবাজার কমলগঞ্জে সাবেক ছাত্রদল নেতাকে নির্মমভাবে গলা কেটে হত্যা, রহিমপুর থেকে মরদেহ উদ্ধার

The Business Daily

Published : ২০:১৩, ৯ আগস্ট ২০২৫

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের সিদ্ধেশ্বরপুর গ্রামে রাফি আহমেদ নামে সাবেক ছাত্রদল নেতাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার (৯ আগস্ট) সকালে তার গলাকাটা মরদেহ জিন ঘর থেকে পুলিশ উদ্ধার করে। নিহত রাফি মুন্সীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জব্বারের ভাতিজা ও ছত্তার মিয়ার ছেলে ছিলেন। তিনি রহিমপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি। হত্যাকাণ্ডের পেছনের কারণ জানার চেষ্টা চলছে এবং পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলায় একটি বর্বর হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। সাবেক ছাত্রদল নেতা রাফি আহমেদ (২৮)কে গলা কেটে হত্যা করা হয়।

শনিবার (৯ আগস্ট) সকালে রহিমপুর ইউনিয়নের সিদ্ধেশ্বরপুর গ্রামের একটি জিন ঘর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয় এলাকাবাসী ও পরিবারের লোকজন হত্যাকাণ্ডে নিন্দা ও শোক প্রকাশ করেছেন। নিহত রাফি আহমেদ মুন্সীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জব্বারের ভাতিজা এবং স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছত্তার মিয়ার ছেলে ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে রহিমপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। স্থানীয় রাজনীতি এবং সামাজিক কর্মকাণ্ডে তার সক্রিয়তা ছিল ব্যাপক। স্থানীয়রা জানান, শনিবার সকালে রহিমপুর ইউনিয়নের সিদ্ধেশ্বরপুর গ্রামের একটি পরিত্যক্ত বা অব্যবহৃত জিন ঘরের ভেতর থেকে রাফির গলাকাটা মরদেহ পাওয়া যায়। বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করলে তারা দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মরদেহ উদ্ধার করেন এবং থানায় নিয়ে আসেন। কমলগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ সুপার জানান, নিহতের গলায় ছুরি বা ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং ঘটনাস্থল থেকে প্রাথমিকভাবে কিছু সাক্ষ্য ও তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্য এবং সম্ভাব্য অভিযুক্তদের শনাক্তে দ্রুত তদন্ত করা হচ্ছে। নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী এই বর্বর হত্যাকাণ্ডে গভীর শোক ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা দ্রুত হত্যাকারীদের শাস্তি দাবি করেছেন। একই সঙ্গে তারা হত্যাকাণ্ডের পিছনে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বা অন্য কোনও দ্বন্দ্ব থাকলে তা স্পষ্ট করার জন্য তদন্তের প্রতি জোর দিয়েছেন।

এখনও পুলিশ হত্যাকাণ্ডের সঠিক কারণ প্রকাশ করেনি। তবে স্থানীয় রাজনৈতিক সংঘাত বা ব্যক্তিগত শত্রুতাকে তদন্তের একটি অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। হত্যাকাণ্ডের পেছনে আর্থ-সামাজিক বিষয়াদি বা অপরাধমূলক উদ্দেশ্যও থাকতে পারে বলে তদন্তকারীরা জানান। পুলিশ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সন্দেহভাজনদের শনাক্ত ও গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে। পাশাপাশি সুরক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং এলাকায় শান্তি বজায় রাখার জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে সংঘটিত এই নির্মম হত্যাকাণ্ড স্থানীয় রাজনীতি ও সমাজের জন্য একটি গভীর শোক ও উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। দ্রুত তদন্ত ও ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করছেন নিহতের পরিবার এবং এলাকাবাসী।

A

বিষয়ঃ
শেয়ার করুনঃ
Advertisement