বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে অংশীদারিত্ব জোরদারের অঙ্গীকার

বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে অংশীদারিত্ব জোরদারের অঙ্গীকার

The Business Daily

Published : ১৪:৫৩, ১২ আগস্ট ২০২৫

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম মঙ্গলবার পুত্রজায়ার পার্দানা পুত্রা ভবনে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্ককে গভীর ও ভবিষ্যতমুখী কৌশলগত অংশীদারিত্বে রূপান্তরের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, অভিবাসন, জ্বালানি, নীল অর্থনীতি, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিনিময়সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দুই নেতা অংশীদারিত্ব সম্প্রসারণ ও বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা জোরদারের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন।

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম মঙ্গলবার মালয়েশিয়ার পুত্রজায়ার পার্দানা পুত্রা ভবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন। এই বৈঠক দুই দেশের মধ্যকার দীর্ঘদিনের ঐতিহাসিক, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বন্ধনকে আরও গভীর ও ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারিত্বে রূপান্তরের উদ্দেশ্যে আয়োজন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে, বৈঠকে দুই দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে আলোচনা-পরিকল্পনায় অংশগ্রহণ করেন।

দুই নেতা প্রথমে একান্ত বৈঠক করেন, যেখানে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা সম্প্রসারণের জন্য মৌলিক দিকনির্দেশনা নির্ধারণ করা হয়। এরপর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি সীমিত পরিসরের অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে প্রধানত বাণিজ্য, বিনিয়োগ, অভিবাসন ব্যবস্থাপনা, জ্বালানি সহযোগিতা, নীল অর্থনীতি, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিনিময়সহ বিস্তৃত বিষয়সমূহ নিয়ে আলোচনা হয়।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৈঠকে উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার সম্পর্ক ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক সহানুভূতির গভীর ভিত্তিতে গড়া একটি বন্ধন। তিনি মালয়েশিয়াকে বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে আখ্যায়িত করেন, বিশেষত মানবসম্পদ উন্নয়ন ও বাণিজ্য খাতে।

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম ড. ইউনূসকে ‘মালয়েশিয়ার বন্ধু’ হিসেবে অভিহিত করে তার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, বাণিজ্য বৃদ্ধির পাশাপাশি অভিবাসী কর্মীদের কল্যাণ নিশ্চিতকরণ, শিক্ষা সহযোগিতা ও রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি।

বৈঠকে বিনিয়োগ সম্প্রসারণ, জ্বালানি নিরাপত্তা, নীল অর্থনীতি উন্নয়ন এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করার জন্য বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। দুই নেতা ভবিষ্যতে কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মান উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন।

বিশেষজ্ঞরা এই বৈঠককে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে মূল্যায়ন করছেন, যা দুই দেশের জনগণের কল্যাণ এবং সুষ্ঠু উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

A

শেয়ার করুনঃ
Advertisement