৫ বছরেও না ফিরলে ‘গুম’ ঘোষণা করতে পারবে ট্রাইব্যুনাল

৫ বছরেও না ফিরলে ‘গুম’ ঘোষণা করতে পারবে ট্রাইব্যুনাল ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ১৮:৫৬, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশে গুমের ঘটনা প্রতিরোধ ও ভুক্তভোগীদের প্রতিকার নিশ্চিত করতে ‘গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’–এর খসড়ায় নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।

বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই সংশোধিত অধ্যাদেশের খসড়াটি অনুমোদন পায়।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, সংশোধনের ফলে কোনো ব্যক্তি কমপক্ষে পাঁচ বছর ধরে নিখোঁজ থাকলে এবং জীবিত অবস্থায় ফিরে না এলে সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনাল তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ডিসাপিয়ার্ড’ বা ‘গুম’ হিসেবে ঘোষণা করতে পারবে। এতে গুমের ঘটনায় আইনি স্বীকৃতি ও বিচারিক প্রক্রিয়া আরও স্পষ্ট হবে।

এছাড়া, মানবাধিকার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার ট্রাইব্যুনাল পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক পাবলিক প্রসিকিউটর নিয়োগ দেওয়ার ক্ষমতাও সরকার পাবে।

প্রেস উইং আরও জানায়, এই সংশোধনের মাধ্যমে ভুক্তভোগী ব্যক্তি বা অভিযোগকারী চাইলে নিজ উদ্যোগে ট্রাইব্যুনালের জন্য আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবেন। একই সঙ্গে, গুম হওয়া ব্যক্তির স্ত্রী অথবা তার ওপর নির্ভরশীল পরিবারের কোনো সদস্য কমিশনের পূর্বানুমতি ছাড়াই ওই ব্যক্তির সম্পত্তি ব্যবহার করতে পারবেন।

সংশোধিত এই অধ্যাদেশ গুমের শিকার পরিবারগুলোর আইনি সুরক্ষা ও ন্যায়বিচার পাওয়ার পথ আরও সুগম করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বিডি/এএন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement