সরকারি বরাদ্দের একটি হারাম টাকাও পেটে ঢুকবে না,এটিএম আজহারুল
Published : ২০:০০, ২২ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও রংপুর-২ (বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জ) আসনের দলের প্রার্থী এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেছেন, আমরা সব সময় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড দাবি করে আসছি।
এখনো প্রশাসনের অনেকে বিশেষ একটা দলের পক্ষে কাজ করছেন। সরকারি চাকরি যারা করেন তারা নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করবেন, তা হলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকবে।
আজ ২২ নভেম্বর শনিবার দুপুরে রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলা সাহাপুর মাঠে দাঁড়িপাল্লার সমর্থনে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা বের করার সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব অভিযোগ করেন। এসময় তিনি বলেন, আমরা রাজনৈতিক দলগুলো সবাই স্বাক্ষর করেছি, গণভোটের ব্যাপারে সম্মত হয়েছি।
আমাদের বিশ্বাস, গণভোট হলে দেশের অনেক সমস্যারই সমাধান হবে। যেহেতু আমরা সবাই গণভোটে রাজি হয়েছি, তা হলে এটি জাতীয় নির্বাচনের আগেই করা যাবে না কেন? আগেই করলে সমস্যাটা কোথায়? তিনি আরও বলেন, আমাদের দাবি পরিষ্কার। এখনো আমরা দাবি করছি, জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট করতে হবে।
যেহেতু দুর্নীতিমুক্তভাবেই এতদিন কাজ করেছি, নির্বাচিত হলেও একইভাবে দুর্নীতিমুক্ত থাকব। এমপি হতে পারলে সরকারি ও বেসরকারি বরাদ্দ আনব, এলাকার উন্নয়ন করব। ক্ষমতায় গেলে সরকারি বরাদ্দের একটি টাকাও হারামভাবে আমার পেটে ঢুকবে না, এটা আমার অঙ্গীকার।
ভোটে আমার বিজয় এমন হবে যে, আমার ধারের কাছেও কেউ আসতে পারবে না, ইনশাআল্লাহ। নির্বাচিত হলে এলাকার সার্বিক উন্নয়নে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, জনগণ আমাকে বিশ্বাস করলে প্রথমেই রাস্তাঘাট নির্মাণে অগ্রাধিকার দেব।
বন্ধ থাকা শ্যামপুর সুগার মিল চালু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখানে একটি সুগার মিল আছে, যা শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী থাকাকালে উন্নয়ন হয়েছিল। পরে তার দায়িত্ব শেষ হলে দুর্নীতির জালে জড়িয়ে মিলটি বন্ধ হয়ে যায়। নির্বাচিত হলে, আইনি জটিলতা না থাকলে, মিলটি পুনরায় চালুর উদ্যোগ নেব, যাতে এলাকার শত শত মানুষ চাকরির সুযোগ পায়।
প্রায় চার হাজার মোটরসাইকেল নিয়ে শোভাযাত্রাটি বদরগঞ্জ উপজেলার সাহাপুর মাঠ থেকে শুরু হয়ে শ্যামপুর, নাগেরহাট, কুতুবপুর, লোহানীপাড়া, কালুপাড়া ও বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন প্রদক্ষিণ শেষে আবারও সাহাপুর মাঠে গিয়ে শেষ হয়।
বিডি/এএন





























