অতীতে যারা ক্ষমতায় ছিল তারা উন্নয়নের নামে রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাট করেছে - মোহাম্মদ কামাল হোসেন

অতীতে যারা ক্ষমতায় ছিল তারা উন্নয়নের নামে রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাট করেছে - মোহাম্মদ কামাল হোসেন ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ২২:০৪, ১ ডিসেম্বর ২০২৫

ঢাকা-৫ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেছেন, ‘‘অতীতে যারা ক্ষমতায় ছিল তারা উন্নয়নের নামে রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাট করেছে’’।

মেগা প্রকল্পের নামে মেগা দুর্নীতি করেছে। উন্নয়ন ব্যয় অতিরিক্ত নির্ধারণ করে নিজেদের দলীয় নেতাকর্মীদের লুটপাটের সুযোগ করে দিয়েছিল। একেকটা রাজনৈতিক দলের তৃণমূলের একজন কর্মী পর্যন্ত কোটি-কোটি টাকার মালিক হয়েছে।

অথচ তাদের দলীয় পদবী ব্যতীত নিজস্ব কোনো ইনকাম সোর্স নাই এবং ছিল না। কেউ ক্ষমতা ছেড়ে, কেউ মুচলেকা দিয়ে বিদেশে কেন পালিয়ে যেতে হয়েছে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, কারণ পালিয়ে যাওয়া নেতারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে জনগণকে শোষণ করেছে।

রাষ্ট্রীয় কাঠামো ধ্বংস করে দিয়েছে, বিদেশে অর্থ পাচার করে কেউ ভারত, কেউ কানাডায়, কেউ লন্ডনে বিলাসী জীবনযাপন করছে।

দুর্নীতিগ্রস্ত নেতৃত্ব দিয়ে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব হবে না। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য প্রয়োজন ইসলামী আদর্শের নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধের নেতৃত্ব। 

সোমবার (১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে যাত্রাবাড়ী থানাধীন (৬২ নং ওয়ার্ড) গোবিন্দপুরে মোখলেছ মাদব্বর সড়ক সিসি ঢালাই কাজের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি আরও বলেন, জামায়াতে ইসলামী কখনো ক্ষমতায় না বসলেও দেশ ও জাতির যেকোন প্রয়োজনে সবার আগে সবখানে ছুটে গিয়েছে এবং যাবে।

জামায়াতে ইসলামীর ৪ দফা রাজনৈতিক কর্মসূচির অন্যতম একটি হচ্ছে সমাজ সংস্কার ও সমাজ সেবা। এরই ধারাবাহিকতায় জামায়াতে ইসলামী ব্যাপক ভিত্তিক সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।

তিনি বলেন, জনগণ যদি আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে জামায়াতে ইসলামীকে রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ দেয় তবে রাষ্ট্রীয় অবকাঠামো উন্নয়ন ও সংস্কার করে বাংলাদেশকে বিশ্বের রোল মডেল হিসেবে গড়ে তোলা হবে। ক্ষুধা, দারিদ্র, বেকারত্ব দূরীকরণের মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ।

কারণ জামায়াতে ইসলামীর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় গেলে দুর্নীতি-সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজ শক্ত হাতে দমন করা হবে। দুর্নীতি-সন্ত্রাস-চাঁদাবাজ মুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়তে জামায়াতে ইসলামীর দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে ভোট দিয়ে রাষ্ট্র গঠনের অংশীদার হতে তিনি ঢাকা-৫ আসনের জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানান।    
 
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৬২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. জসিমউদদীনের সার্বিক সহযোগিতা ও তত্ত্বাবধানে মোখলেস মাদবর সড়কের সংস্কার (সিসি ঢালাই) কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মহানগরীর মজলিসে শুরা সদস্য ও যাত্রাবাড়ী মধ্য থানা আমীর এডভোকেট এ কে আজাদ খান, মহানগরীর মজলিসে শুরা সদস্য ও থানা সেক্রেটারী মাওলানা মো. ইমাম হোসেন।

এলাকাবাসীর মধ্যে হতে উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক মো. মাহবুবুর রহমান, মোহাম্মদ শাহজাহান, ব্যাংকার মো. ইলিয়াস হোসাইন, মো. রেজাউল করিম, মো. রমজান আলী। যুব নেতা মোহাম্মদ কামাল হোসেন, শিক্ষাবিদ মো. সামিউল ইসলাম, ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক হাফেজ মো. হারুনুর রশিদ।

ব্যাংকার ও সমাজ সেবক মো. ফারুক আহমেদ। সমাজসেবক মাওলানা মো. দ্বীন ইসলাম ও মাওলানা মো. আবু জাফর। সমাজসেবক রহমতুল্লা খান প্রিন্স, হাকিম রায়হান, মো. অপু, মো. সোহাগ, ইঞ্জিনিয়ার শাহজাহান মাসুদ, মো. রিপন, হাফেজ শাহাদাত হোসেনসহ স্থানীয় বাড়িওয়ালা  ও স্থানীয় ব্যবসায়ী প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, শাহবাগ পূর্ব থানার ওলামা ওয়ার্ডের উদ্যোগে রবিবার রাতে আলেমদের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর (ঢাকা-৮ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী) এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন।

সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগরীর সমাজকল্যাণ সম্পাদক ও পল্টন থানা আমীর শাহীন আহমেদ খান।  প্রধান বক্তা ছিলেন মহানগরীর মজলিসে শুরা সদস্য ও শাহবাগ পূর্ব থানা আমীর (ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ২০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদপ্রার্থী) আহসান হাবীব। 

ওলামা ওয়ার্ডের সভাপতি হাফেজ মো. আব্দুল আজিজের সভাপতিত্বে এবং ওলামা ওয়ার্ড সেক্রেটারী আব্দুল আলী’র পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শাহবাগ পূর্ব থানা সেক্রেটারী মো. নুরুন্নবী রায়হান।

আরও উপস্থিত ছিলেন থানা অফিস ও প্রচার সম্পাদক মুখলেছুর রহমান জুয়েল, থানা শূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য এবং গুলিস্তান ওয়ার্ড সভাপতি মো. ওমর ফারুক, থানা শূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য এবং সেগুনবাগিচা ওয়ার্ড সভাপতি হাফেজ মাওলানা সানাউল্লাহ রাকিব।

বিডি/এএন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement