বিপিএলে নোয়াখালীর অধিনায়কত্বে কে? জল্পনা তুঙ্গে

বিপিএলে নোয়াখালীর অধিনায়কত্বে কে? জল্পনা তুঙ্গে ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ১৬:০৭, ১ ডিসেম্বর ২০২৫

দেশের একমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১২তম আসরের নিলাম রোববার (৩০ নভেম্বর) সম্পন্ন হয়েছে।

এবারের নিলামজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি নোয়াখালী এক্সপ্রেস। অভিষেক মৌসুমেই তারা এমন শক্তিশালী স্কোয়াড গঠন করেছে যে, নজর কাড়তে সময় লাগেনি।

দলের অধিনায়ক কে হবেন—এ নিয়ে জল্পনা যখন জোরালো, তখনই পরিষ্কার মতামত দিলেন দলের প্রধান কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন। তার মতে, নেতৃত্বের দায়িত্ব নেওয়ার মতো উপযুক্ত ক্রিকেটার হলেন স্থানীয় তারকা সৌম্য সরকার।

সুজনের ভাষ্য, তিনি সৌম্যকেই অধিনায়ক হিসেবে দেখতে চান, তবে সিদ্ধান্তটি নির্ভর করবে খেলোয়াড়ের ওপর। চাপের কারণে অনেক সময় ক্রিকেটাররা নেতৃত্ব নিতে দ্বিধায় ভোগেন, তবুও কোচ মনে করেন সৌম্যকে দিয়েই নতুন যাত্রা শুরু করা উচিত।

নোয়াখালী এক্সপ্রেস নিলামের আগেই সৌম্য সরকার, হাসান মাহমুদ, জনসন চার্লস ও কুশল মেন্ডিসকে দলে ভিড়িয়েছে। বিদেশি ক্রিকেটারকে অধিনায়ক না বানানোর কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সুজন জানান,

কুশল মেন্ডিস কয়েক ম্যাচ পরই জাতীয় দায়িত্বে ফিরতে পারেন, ফলে মাঝপথে নেতৃত্ব বদলের প্রয়োজন হবে—যা দলের জন্য সুবিধাজনক নয়। স্থায়ীভাবে একজন অধিনায়ক থাকলে দল আরও ভালো ফল পাবে বলে মনে করেন তিনি।

নিলাম থেকে দলে নেওয়া হয়েছে রাইজিং স্টারস এশিয়া কাপে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে আলো ছড়ানো হাবিবুর রহমান সোহানকে। তাকে দলে পেয়ে দারুণ সন্তুষ্ট কোচ।

তার মতে, সোহান ছোট গঠনের হলেও ব্যাট হাতে দারুণ আগ্রাসী এবং রান করতেই ভালোবাসেন। দলের অভিজ্ঞ ব্যাটার চার্লস, সৌম্য ও কুশলের সঙ্গে মিলেই তিনি ব্যাটিং ইউনিটকে শক্তিশালী করবেন। তবে সোহানের ওপর কোনো চাপ না রাখতে চান সুজন।

নোয়াখালী এক্সপ্রেসের অভিষেক মৌসুমেই তাদের স্কোয়াড যে ভীষণ প্রতিযোগিতামূলক—তা বলাই যায়। এখন অপেক্ষা, কোচের ইঙ্গিত অনুযায়ী সৌম্য সরকারকেই কি শেষ পর্যন্ত প্রথম অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হবে? বিপিএলভক্তদের আগ্রহ এখন সেই প্রশ্নকে ঘিরেই।

২০২৬ বিপিএলে নোয়াখালী এক্সপ্রেসের স্কোয়াড

সরাসরি চুক্তি:
হাসান মাহমুদ, সৌম্য সরকার, জনসন চার্লস, কুশল মেন্ডিস

নিলাম থেকে:
জাকের আলি অনিক (৩৫ লাখ), মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন (৩৫ লাখ), হাবিবুর রহমান সোহান (৫০ লাখ), নাজমুল ইসলাম অপু (১৮ লাখ), আবু হাশিম (১৮ লাখ), মুশফিক হাসান (১৮ লাখ), শাহাদাত হোসেন দিপু (১৮ লাখ), রেজাউর রহমান রাজা (১৮ লাখ), মেহেদি হাসান রানা (১৪ লাখ), সৈকত আলী (১৪ লাখ), সাব্বির হোসেন (১৪ লাখ), ইহসানউল্লাহ (২৮ হাজার ডলার), হায়দার আলি (২৫ হাজার ডলার)।

বিডি/এএন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement