কাদা ছোড়াছুড়ি নয়, মেধার লড়াই চান ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েম

ডাকসু নির্বাচনকে ঘিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এখন পুরোপুরি নির্বাচনী আবহে সরব। প্রার্থীরা নানা প্রতিশ্রুতি, প্রত্যাশা ও অভিযোগ সামনে এনে শিক্ষার্থীদের আকর্ষণের চেষ্টা চালাচ্ছেন। নারী শিক্ষার্থীদের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা, ভোটাধিকার প্রয়োগ, এমনকি প্রার্থিতা বাতিল প্রসঙ্গ নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সব মিলিয়ে ক্যাম্পাসজুড়ে নির্বাচনী উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে।

এ অবস্থায় মেধা ও কাজের মাধ্যমে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে প্রতিপক্ষ বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা এবং নারী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে সাইবার বুলিংয়ে লিপ্ত হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েম।

শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শিক্ষার্থী ঐক্যজোটের এই প্রার্থী বলেন, “যোগ্যতার প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে থাকা প্রার্থীরা এখন বিভিন্ন ধরনের আক্রমণে নেমেছে। কাদা ছোড়াছুড়ি না করে সবাইকে মেধার লড়াইয়ে অংশ নিতে হবে।” একইসঙ্গে তিনি নারী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে সাইবার বুলিংয়ের নিন্দা জানান।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল কাজ হলো নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করা, আর সেই জ্ঞানের অন্যতম কেন্দ্র হলো লাইব্রেরি। কিন্তু দুঃখজনকভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি বর্তমানে সবচেয়ে অবহেলিত অবস্থায় আছে। উন্নত বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গবেষণা ও লাইব্রেরিতে বড় বাজেট বরাদ্দ দেয়, অথচ আমাদের দেশে এই খাতে বরাদ্দ মাত্র ২ শতাংশ।

লাইব্রেরির সমস্যা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখানে আসন সংকট তীব্র। বই বাইরে নেওয়ার বা হলে পাঠের সুযোগ নেই। আর্কাইভ সেকশনে প্রবেশেও নানা জটিলতা রয়েছে। বিশ্বের আধুনিক লাইব্রেরির সুবিধাগুলো ছাত্রদের জন্য উন্মুক্ত করার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।

নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের অভিযোগ করে সাদিক কায়েম বলেন, “অনেকে আচরণবিধি ভঙ্গ করে রঙিন পোস্টার ব্যবহার করছে, অথচ সেগুলো সরানো হয়নি। নারী ভোটার তালিকায় বাইরের কেউ ঢুকে না পড়ে, তা নিশ্চিত করতেও প্রশাসন ব্যর্থ। যারা পর্দা করে বা মুখ প্রকাশ করতে চান না, তাদের বিষয়েও কোনো সমাধান দেওয়া হয়নি।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, ভিপি প্রার্থী হিসেবে তার বিরুদ্ধে অনলাইন ও অফলাইনে মিথ্যা প্রচারণা চালানো হচ্ছে। কিছু প্রতিদ্বন্দ্বী নিজেদের কর্মসূচি না দেখিয়ে কেবল তার বিরুদ্ধে প্রচার করছে, যা স্পষ্টতই নির্বাচনী আচরণবিধির গুরুতর লঙ্ঘন বলে দাবি করেন তিনি।