আন্দোলনে দাপ্তরিক কাজে বাধা: এনবিআরের আরও ৯ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত

আন্দোলন চলাকালে দাপ্তরিক কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটানোর অভিযোগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আয়কর বিভাগের আরও নয় কর্মকর্তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

সোমবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে প্রথমে কাস্টমস বিভাগের চার কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়। পরে বিকেলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ থেকে আলাদা প্রজ্ঞাপনে আয়কর বিভাগের পাঁচ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

বিকেলের প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, গত ১২ মে ঘোষিত ‘রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ-২০২৫’-এর বিরোধিতা করে এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আন্দোলন শুরু করলে পাঁচ কর্মকর্তা নিয়মিত কার্যক্রম ব্যাহত করেন। পাশাপাশি তারা অন্য কর্মচারীদের রাজস্ব ভবনে এসে আন্দোলনে অংশ নিতে উৎসাহিত করার ভূমিকা পালন করেন। এতে রাজস্ব আহরণ ব্যাহত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তারা হলেন— সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেলের পরিচালক চাঁদ সুলতানা চৌধুরানী, আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিটের অতিরিক্ত কমিশনার সেহেলা সিদ্দিকা, কর অঞ্চল-০৭-এর অতিরিক্ত কর কমিশনার সুলতানা হাবীব, ফরিদপুর কর অঞ্চলের যুগ্ম কর কমিশনার মো. মেসবাহ উদ্দিন খান এবং দিনাজপুর কর অঞ্চলের যুগ্ম কর কমিশনার মো. মামুন মিয়া।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, বরখাস্তকালীন তারা বিধি মোতাবেক খোরপোষ ভাতা পাবেন। জনস্বার্থে জারি করা এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে। এতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান স্বাক্ষর করেছেন।

উল্লেখ্য, মে ও জুন মাসে রাজস্ব খাতে সংস্কারের দাবিতে এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আন্দোলন শুরু করেছিলেন। ২৮ ও ২৯ জুন সারাদেশে কাজ বন্ধ রাখার পর ব্যবসায়ীদের মধ্যস্থতায় তারা কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন। আন্দোলনের পর থেকেই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে এখন পর্যন্ত তিনজন সদস্য ও একজন কমিশনারকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে এবং নয়জন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া দুজন সদস্যসহ ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।