তারেক রহমানের জন্য কৃষকের বানানো সিংহাসন আকৃতির চেয়ার নিয়ে আলোচনায় ভালুকা

তারেক রহমানের জন্য কৃষকের বানানো সিংহাসন আকৃতির চেয়ার নিয়ে আলোচনায় ভালুকা

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ০০:০২, ১৯ আগস্ট ২০২৫

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্য সিংহাসন আকৃতির বিশেষ চেয়ার তৈরি করেছেন ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ীর কৃষক মো. আব্দুল মোতালেব। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর ব্যাপক আলোচনা তৈরি হয়েছে। কেউ একে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছেন, আবার অনেকে সমালোচনাও করছেন।

তবে কৃষক মোতালেবের দাবি, এই সিংহাসন আকৃতির চেয়ার কোনো প্রতিদানের প্রত্যাশায় নয়, বরং শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে বানানো হয়েছে।

তিনি জানান, সংসারে সচ্ছলতা ফেরাতে ১৯৯৮ সালে সৌদি আরবে যান। সেখানকার খেজুর বাগানে ২০০১ সাল পর্যন্ত শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। সেই সময়ে তিনি শুনেছিলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান মরুর দেশে নিম গাছ রোপণ করেছিলেন, যা আজও হাজীদের ছায়া দিচ্ছে। সেই অনুপ্রেরণা থেকে তিনি দেশে ফিরে সৌদি খেজুরের বীজ এনে চাষ শুরু করেন। খেজুর গাছে ফল আসার খবর প্রকাশিত হলে ২০০৪ সালের ১৬ জুন তারেক রহমান নিজে বাগান পরিদর্শনে আসেন এবং প্রায় এক ঘণ্টা সেখানে কাটান। কিন্তু সেদিন ভালো কোনো আসন দিতে না পারার আক্ষেপ থেকেই তিনি পরবর্তীতে সিংহাসন বানানোর সিদ্ধান্ত নেন।

কৃষক মোতালেব জানান, তারেক রহমান দেশে ফিরলে আবারও বাগানে আসবেন—এই আশাতেই তিনি শুধু চেয়ার নয়, রাজকীয় খাট, ডাইনিং টেবিল ও দুটি কাঠের পাখাসহ একাধিক আসবাব তৈরি করেছেন। এর মধ্যে তারেক রহমানের জন্য বানানো চেয়ারটি ৯৫ কিউবিক ফিট কাঁঠাল কাঠ দিয়ে, আরেকটি চেয়ার ৯০ কিউবিক ফিট কাঠ দিয়ে তৈরি করা হয়। আসবাবগুলো এখনও তার বাড়িতে সংরক্ষিত আছে।

জানা গেছে, ২০০৮ সাল থেকে এসব আসবাব তৈরির কাজ শুরু হয়। ভালুকার গতিয়ার বাজার এলাকার কাঠমিস্ত্রি সুজন মিয়া প্রতিমাসে ১২ হাজার টাকা চুক্তিতে কাজ করেন এবং ছয় বছর আগে নির্মাণকাজ শেষ হয়। বর্তমানে তিনি মোতালেবের খেজুর বাগানে চাকরি করছেন।

মোতালেব দাবি করেন, তারেক রহমানের জন্য নির্মিত চেয়ারের নকশা সম্পূর্ণ নিজস্ব। সেটি অন্য কেউ নকল করতে না পারে বলেই নকশার কাগজ ধ্বংস করে দিয়েছেন।

স্থানীয়রা বিশ্বাস করেন, তারেক রহমান ভবিষ্যতে প্রধানমন্ত্রী হলে ভালুকার খেজুর বাগানসহ ময়মনসিংহ অঞ্চলের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ ওয়াহিদ বলেন, ২০০৪ সালে তারেক রহমান মোতালেবের খেজুর বাগান ঘুরে মুগ্ধ হয়েছিলেন। আজও সেই স্মৃতি থেকেই কৃষক যদি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে চেয়ার বানিয়ে থাকেন, সেটি ইতিবাচক উদ্যোগ। তার মতে, নবী করিম (সা.)-এর প্রিয় ফল খেজুরকে বাংলাদেশে সফলভাবে চাষ করে মোতালেব যে অবদান রেখেছেন, সেটি নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।

BD/AN

শেয়ার করুনঃ
Advertisement