রাজধানীর মিরপুরে আলিফ পরিবহনের বাসে গুলি ছোড়া ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সেনাবাহিনী দুইজনকে আটক করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, চাকরির প্রতিশ্রুতি পূরণ না করায় ক্ষোভ থেকেই এ কাজ করেছেন। তবে সেনাবাহিনীর দাবি, চাঁদা না পেয়ে তারা এ ঘটনা ঘটায়।
ঘটনাটি ঘটে গত শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সকাল সোয়া ৭টার দিকে মিরপুর-১০ এর সেনপাড়ায়। ওই সময় যাত্রী নামানোর পর আলিফ পরিবহনের একটি বাসে গুলি ছোড়া হয় এবং পরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, চারজন যুবক মেট্রোরেলের পিলারের কাছে বাসটি থামায়। যাত্রীদের নামানোর পর দুজন বাসে উঠে তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। একই সঙ্গে নিচ থেকে দুই রাউন্ড গুলিও ছোড়া হয়।
এরপর অভিযান চালিয়ে রূপনগরের ইস্টার্ন হাউজিং এলাকা থেকে নেছার ও দিপু নামে দুই যুবককে আটক করে সেনাবাহিনী। যদিও দিপু ঘটনাস্থলে ছিলেন না বলে জানা গেছে। নেছার স্বীকার করেন, চাকরির প্রতিশ্রুতি না রাখায় ক্ষোভ থেকে তারা এই ঘটনা ঘটান।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নেছার বলেন, “চারজনে মিলে গাড়ি থামাই। এরপর বাসে তেল ঢেলে আগুন দিই।” তিনি আরও জানান, “স্থানীয় আব্বাস ও পিন্টু ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ ছিল। সেই দ্বন্দ্ব থেকেই এমন নির্দেশ আসে। পিন্টু ভাই নাকি আমাদের পাঁচজনকে চাকরি দেয়ার কথা বলেছিলেন, কিন্তু দেননি। তার অনেক সম্পত্তি ও ব্যবসা নিয়েও অভিযোগ আছে।”
অন্যদিকে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, মোহাম্মদপুরের একটি চক্র গত কয়েক মাস ধরে আলিফ পরিবহন থেকে চাঁদা দাবি করে আসছিল। চাঁদা না পেয়ে তারা এই হামলা চালায়।
সেনাবাহিনীর ১১ সিগন্যাল ব্যাটালিয়নের মেজর শাহিদ আহসান বলেন, “আমরা অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তে নেমে কিছু অডিও ক্লিপ পাই, যেখানে নেছার আলিফ পরিবহনের কর্মকর্তাদের হুমকি দিচ্ছে।”
তিনি আরও জানান, হামলার দিন ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে এবং অভিযুক্ত পিন্টুসহ অন্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।