ইইউ নেতারা অনিয়মিত অভিবাসন রোধে নতুন পরিকল্পনা ঘোষণা

Published : ২৩:৫৫, ৫ অক্টোবর ২০২৫
ইউরোপীয় পলিটিক্যাল কমিউনিটি (ইপিসি) সম্মেলনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বিভিন্ন দেশের শীর্ষ নেতারা অনিয়মিত অভিবাসন মোকাবিলায় নতুন পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়েছেন।
ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলন থেকে পদক্ষেপের ঘোষণা আসে। উপস্থিত ছিলেন অ্যান্ডোরা, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, বুলগেরিয়া, সাইপ্রাস, চেক প্রজাতন্ত্র, ডেনমার্ক, জার্মানি, গ্রিস, ইটালি, মাল্টা, নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, রোমানিয়া, সুইডেন এবং যুক্তরাজ্যের নেতারা। এছাড়া ছিলেন ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি ও ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সভাপতি। সম্মেলনে যৌথ বিবৃতিও প্রকাশ করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অভিবাসন সমস্যা মোকাবিলায় পুরো রুটকে কেন্দ্র করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দ্রুত পরিবর্তনশীল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নতুন ধরনের সমাধান খুঁজে বের করার প্রয়োজনীয়তা নেতারা তুলে ধরেন।
যৌথ ঘোষণায় মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া এবং বাহ্যিক সীমান্ত আরও সুরক্ষিত করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। এই লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সীমান্ত অতিক্রম করে কাজ করার ক্ষমতা, তথ্য ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করার সুযোগ দেওয়া হবে। এছাড়া পাচারকারী চক্রের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞাসহ নতুন পদক্ষেপ নেওয়াতেও নেতারা একমত হয়েছেন।
নেতারা বলেন, আইনগত কাঠামো এবং আশ্রয় ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে হবে, যাতে কোনোভাবে এর অপব্যবহার না হয়। ইউরোপীয় কনভেনশন অন হিউম্যান রাইটস এবং শরণার্থী কনভেনশন আধুনিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কার্যকরভাবে ব্যবহার করা হবে।
বিবৃতিতে স্পষ্ট করা হয়, অভিবাসন সমস্যার সমাধানে ফেরত পাঠানোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এজন্য কূটনৈতিক সম্পর্ক, ভিসা নীতি এবং তৃতীয় দেশগুলোর সঙ্গে নতুন চুক্তি ব্যবহার করে দ্রুত ফেরত পাঠানোর কার্যক্রম চালানো হবে।
সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, উৎস দেশ ও ট্রানজিট দেশগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা হবে। উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, শিক্ষা এবং স্বেচ্ছায় ফেরত যাওয়ার মতো কার্যক্রমে আন্তর্জাতিক সংস্থা যেমন আইওএম ও ইউএনএইচসিআর-এর কাজকে সমর্থন করা হবে।
নেতারা অভিবাসন সংস্কারে প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী সমাধানকে গুরুত্ব দিয়েছেন। কার্যকর সীমান্ত সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হলে পুরনো নীতি আর কার্যকর নয়। তাই নতুন কাঠামো, নতুন অংশীদারত্ব এবং আধুনিক ব্যবস্থা চালু করা হবে, যাতে মানবপাচারকারী চক্রের ব্যবসায়িক মডেল ধ্বংস করা যায় এবং অনিয়মিত অভিবাসন সীমিত করা যায়।
বিডি/এএন