সুন্দরগঞ্জে ২২ মাস যাবৎ বেতন ভাতা বন্ধ, মাদ্রাসা শিক্ষকের মানবেতর জীবনযাপন
Published : ২১:৫৯, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় মাদ্রাসা শিক্ষকের ২২ মাস যাবৎ বেতন ভাতা বন্ধ রয়েছে। বেতন ভাতা না পেয়ে পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
জানা যায়, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শান্তি রাম বাগনচালী সতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক অন্যত্র চলে যাওয়ার কারণে সিনিয়র সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পান।
তবে রফিকুল ইসলাম রাজনৈতিক ভাবে জামায়াত পরিবারের লোক হওয়ার কারণে কৌশলে জুনিয়র সহকারী শিক্ষক আব্দুর রহিম সরকার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব গ্রহণ করে অবৈধ ভাবে ২ জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেয়।
এতে রফিকুল ইসলাম আপত্তি জানালে ২০২৪ সালের জানুয়ারী মাস থেকে রফিকুল ইসলামের বেতন ভাতা বন্ধ করে দেয় আব্দুর রহিম সরকার। জৈষ্ঠ্যতার ভিত্তিতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব চেয়ে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নিবার্হী অফিসার বরাবরে অভিযোগ করেন রফিকুল ইসলাম।
উপজেলার নির্বাহী অফিসার অভিযোগটির তদন্তের দায়িত্ব প্রদান করেন উপজেলার একাডেমির সুপারভাইজার মো. বেলাল হোসেনকে। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে মর্মে উপজেলা নিবার্হী অফিসারের নিকট তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে তদন্ত কর্মকর্তা।
তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা যায়, রফিকুল ইসলাম প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে যাবতীয় কাজ পরিচালনাসহ তার যাবতীয় বকেয়া বেতন ভাতা প্রদানে কোনো বাধা নেই। তবে উপজেলা নিবার্হী অফিসার বকেয়া বেতন ভাতা ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দিতে অস্বীকৃতি জানান। রফিকুল ইসলাম নিরুপায় হয়ে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের নিকট অভিযোগ করেন।
অভিযোগের আলোকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের শিক্ষা ও কল্যাণ শাখার দায়িত্ব প্রাপ্ত সহকারী কমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত স্বারক নম্বর—০৫.৫৫.৩২০০.০০০.৩৭.০১৬.২৪—৬০৫ এক পত্রে উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজারের তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নিবার্হী অফিসারের দপ্তরে গত ২ সেপ্টেম্বর একটি পত্র প্রেরণ করেন। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের পত্র মানতেও অনিহা প্রকাশ করেন উপজেলার নির্বাহী অফিসার রাজ কুমার বিশ্বাস।
অবৈধ ভাবে দায়িত্ব গ্রহণ কারী আব্দুর রহিম সরকারকে পাকাপোক্ত করার জন্য মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েব সাইটে দেয়া সিনিয়র শিক্ষক রফিকুল ইসলামের নামে ইস্যুকৃত মোবাইল ০১৭৪৯৪১১৬৮৩ নম্বরটি পরিবর্তন করে আব্দুর রহিম সরকারের মোবাইল ০১৩০৭৫৫৪৭২৯ নম্বরটি সংযুক্ত করার জন্য মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে একটি সুপারিশ পত্র প্রেরণ করেছে উপজেলা নিবার্হী অফিসার।
মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করার জন্য উপজেলা নিবার্হী অফিসারের কার্যালয়ের ১৮/৬/২৫ তারিখের স্বারক নম্বরটি বাতিল চেয়ে ৫/১০/২৫ তারিখে প্রতিষ্ঠান প্রধান উপজেলা নিবার্হী অফিসার বরাবর একটি আবেদন করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছে না ভুক্তভোগী। উপজেলা নিবার্হী অফিসার রাজকুমার বিশ্বাস বিষয়টি নিয়ে কালক্ষেপণ করছে।
বিডি/এএন































