শেখ হাসিনার মৃত্যু নিয়ে ভাইরাল গুজব ভুয়া
Published : ২৩:৫৬, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ছবি দেশের রাজনৈতিক এবং সামাজিক মহলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। ছবিটি দাবি করা হচ্ছিল, এটি বাংলাদেশের পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি, যা হাজার হাজার বার শেয়ার করা হয়েছে।
এর ফলে অনলাইনে গুজব, ভুল তথ্য এবং বিতর্কের সৃষ্টি হয়। রিউমার স্ক্যানার ও ফ্যাক্টচেকের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ছবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর। প্রকৃতপক্ষে এটি ভারতের একজন ভিন্ন নারীর ছবি, যা শেখ হাসিনার সঙ্গে জোড়া দেওয়া হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা এটিকে ‘ডিজিটাল গুজব’ বা ভুল তথ্যের বিস্তার হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তারা জানাচ্ছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল বা ক্লিক ও রিচ বাড়ানোর জন্য এই ধরনের বিভ্রান্তিকর ছবি ছড়ানো হচ্ছে, যা সাইবার অপরাধের অংশ। এমন ভুল তথ্য দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে তথ্যের দ্রুত যাচাই-বাছাই অত্যন্ত জরুরি।
সরকার ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা তথ্য প্রচার করা আইনত দণ্ডনীয়। সাধারণ নাগরিকদেরও অনুরোধ করা হয়েছে, কোনো ছবি বা তথ্য প্রচার করার আগে তার উৎস এবং সত্যতা যাচাই করতে। গণমাধ্যমে নির্ভরযোগ্য সূত্র ছাড়া কোনো খবর প্রকাশ না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধান অনুযায়ী, ভাইরাল ফটোকার্ডটি ১৩ মে ২০২৫-এ প্রকাশিত হয়। ছবিটি ব্যবহৃত হয়েছে এমন দাবিতে যে, শেখ হাসিনা ভারতের নয়াদিল্লির ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলো হাসপাতালে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। কিন্তু প্রকৃত ঘটনা হলো, ছবিটি ভারতের এক ৮২ বছর বয়সী নারী রাজ পাসরিচার, যিনি বিমানবন্দর থেকে হুইলচেয়ার না পাওয়ায় হাঁটতে বাধ্য হয়েছিলেন এবং অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।
ভাইরাল ছবির প্রকাশের সময়ও আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার প্রজ্ঞাপন জারি হয়নি। মূলধারার সংবাদ মাধ্যমেও শেখ হাসিনার মৃত্যু সম্পর্কিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
ফলে, ভাইরাল ছবিটি সম্পূর্ণ বিকৃত এবং বিভ্রান্তিকর। ফ্যাক্টচেক অনুসারে এটি “বিকৃত” হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
বিডি/এএন































