কিস্তি দিতে না পারায় গৃহবধূর আংটি ও বদনা নিয়ে গেলো এনজিও

কিস্তি দিতে না পারায় গৃহবধূর আংটি ও বদনা নিয়ে গেলো এনজিও ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ১৮:৫৪, ১০ নভেম্বর ২০২৫

বাগেরহাটের চিতলমারী এলাকায় এক গৃহবধূর সঙ্গে একটি বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) কর্মীদের অব্যবহৃত আচরণের অভিযোগ সামাজিক মাধ্যমে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে।

অভিযোগ করা হয়েছে, ২২ বছর বয়সী শ্রাবণী হীরা নামে গৃহবধূর হাতের সোনার আংটি, নাকফুল এবং পিতলের বদনা নেওয়া হয়েছে।

শ্রাবণী হীরা জানান, তিনি ডাম ফাউন্ডেশন ফর ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট (ডিএফইডি)-এর চিতলমারী শাখা থেকে ৪০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। ঋণের সঙ্গে থাকা সুদসহ তাকে ৪৫ হাজার ১২০ টাকা পরিশোধ করতে হতো। কিন্তু কিছু কিস্তি সময়মতো পরিশোধ না করায় সমস্যার সৃষ্টি হয়। তার স্বামী রিপন কাজের জন্য এলাকার বাইরে থাকায় কিছু কিস্তি বাকি পড়ে।

শ্রাবণী হীরার অভিযোগ, ২৯ অক্টোবর সকাল ১০টার দিকে এনজিওর কর্মীরা তাকে বাড়ি থেকে ডেকে অফিসে নিয়ে যান। সেখানে তাকে এবং তার তিন বছরের কন্যাকে একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করা হয়। বিকেলে ফিল্ড থেকে ফিরে কর্মকর্তারা তাকে দুইটি ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে জোরপূর্বক তার হাতের আংটি, নাকফুল এবং পিতলের বদনা গ্রহণ করেন। এ সময় পুরো ঘটনা ভিডিওতে ধারণ করা হয়। শ্রাবণী হীরা বলেন, “আমাকে তালাবদ্ধ করে ভয় দেখানো হয়। আমার মেয়ে ক্ষুধায় কাঁদছিল, কিন্তু আমি কিছু বলতে পারিনি।”

ভিডিও ক্লিপ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে চিতলমারী এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়। তবে এনজিওর কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, গৃহবধূ স্বেচ্ছায় তার গয়না ও বদনা দিয়েছেন। ডিএফইডি চিতলমারী শাখার ম্যানেজার বাসুদেব দেবনাথ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গৃহবধূ শ্রাবণী হীরার কিস্তি খেলাপি ছিল এবং তার কাছ থেকে নাকফুল নেওয়ার বিষয়টি জানা গেছে। তিনি আরও জানান, এই ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করা হবে।

বিডি/এএন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement